ধানসিঁড়ির খোঁজে একদিন

অলোক আচার্য– জীবনানন্দ দাশ, বাংলা সাহিত্যে যার সাহিত্যকর্মের আলোচনার শেষ নেই। পাঠকের কাছে তীব্র আকর্ষণের কবি জীবনানন্দ দাশ। যারা একটু আধটু কাব্য প্রেমিক বা বাংলা সাহিত্যের খোঁজ খবর রাখেন তারা আধুনিক কবিতায় জীবনানন্দ দাশের অবদান এক বাক্যে স্বীকার করবেন। সেই জীবনানন্দ যাকে নিয়ে এ সময় তুমুল আলোচনা হয়, গবেষণা হয়। যার জীবন ছিল নিরানন্দ অথচ কবিতায় ছিল প্রাণ। সেই জীবনানন্দ দাশের জন্ম ভিটে বরিশালে গিয়ে একবার জন্মস্থান নিজ চোখে দেখে না আসলে জীবন কি আর স্বার্থক হয়! অতএব আমাকে ছুটতেই হলো। গিয়েছিলাম ভাইফোঁটার ছুটি নিয়ে বরিশাল। ভাইফোঁটা নিয়েই ছুটে গেলাম বরিশাল শহরে। তবে কিছুটা হতাশ হতেই হলো। বরিশালের বাসস্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে বরিশাল শহরে যেতে হবে। তবে নামতে হবে পশ্চিম বগুড়া রোড। এখানে উল্লেখ্য যে, বগুড়া রোড না বলে নির্দিষ্ট করে পশ্চিম বগুড়া রোড বললেই ভালো হয়। কারণ বগুড়া রোড কয়েকটি আছে। আরও একটি বিষয় আমাকে হতাশ করেছে। জেনেছিলাম এই রাস্তাটির নাম কবির নামে নামকরণ হয়েছে। আমি অধীর আগ্রহে সেই নাম খুঁজছি। কিন্তু মাত্র একটি,দুটি জায়গায় রাস্তাটির নাম লেখা হয়েছে কবি জীবনানন্দ দাশ সড়ক। যাই হোক যেখানে অটো থেকে নামলাম তার সামনেই একটি ভবনে চোখ পড়তেই লেখা দেখলাম- কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি মিলনায়তন ও পাঠাগার। বুঝলাম পৌছে গেছি। কিন্তু সেটি খোলার সময় তখনও হয়নি। তাই ভেতরে ঢুকতে পারলাম না। খুঁজে পাইনি কবির ধানসিঁড়ির সেই তীর যেখানে কবি ফিরে আসতে চেয়েছেন। তবে মিলনায়তনের লাগোয়া ভবনের নাম ফলকে লেখা ছিল ’ধানসিড়ি।’ এই পাঠাগারের পাশেই আরও একটি একতলা ভবন আছে। এসবই কবির স্মৃতি বিজড়িত। তাই একটু হাত দিয়ে কবির আবেগ অনুভব করার চেষ্টা করি। দেখা হলো অনেক দিনের না দেখা কবির ধানসিঁড়ি

কবি অলোক আচার্য

সকল পোস্ট : অলোক আচার্য