অন্ধকার যাত্রা।। অলিয়ার রহমান

চলতে শেখার পর থেকে মানুষ
অবিরাম ছুটে চলেছে আগামীর পিছে পিছে
দুরন্ত কৈশোর একটু একটু করে হারিয়ে গেছে
মোটা-মোটা বইয়ের কালো অক্ষরের
নীচে চাপা পড়ে।
একটা লাল ঝুটি কাকাতুয়ার ডিম থেকে
কীভাবে তার অবুঝ ছানাটি পৃথিবীর রূপ দেখে
সে ইতিহাস জানার আগেই যৌবন এসে
উঁকি দিয়ে যায় কৈশোরের শেষ প্রান্তের শরীর জুড়ে।
তারপর কতো হাসি, কতো কান্না, কতো প্রেম
কতো বিরহ, কতো মান-অভিমানের পালা বদল।
একটি মায়াবী মুখের জন্য জীবন উৎসর্গ
করে দিব বলে-যৌবনের দীপ্ত আলোয়
উজ্জ্বল করে দেয় মুখর গোধূলি বেলা।
খোঁপার ফুল, সোনার কাঁকন, শেষের কবিতা
অথবা বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত নেশায় আচ্ছন্ন
করে রাখে মানুষের সমস্ত দেহমন।

তারপর একদিন জানা যায়-এইসব শোভাযাত্রা
মরীচিকার মতো মানুষকে ভালোবেসে গেছে
একবিন্দু শিশিরের আয়ু নিয়ে।
বস্তুত, আলোর সন্ধানে ছুটে চলা এক-একটা
মানুষের জীবন, পরিশ্রান্ত দেহে ডুবন্ত সূর্যের
সামনে এসে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকে
অনন্ত অন্ধকার যাত্রার জন্য।

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়

মন্তব্য করুন