অভাগী নারী।। শাহনাজ শারমিন

কুঁচকুচে কালো গায়ের রঙ
মায়াকাড়া দুটি আঁখি,
কুঁকড়ানো ঐ চুলের ফাঁকে
সুখকে আমি খুঁজি।
আহ্লাদের সুরে ডাকতো আমায়
ওরে লক্ষ্মী সোনা,
এতো ডাকি তবু কেন
আমার কাছে আসিসনা।
অভিমানী সুরে বলতাম আমি
কাজ আছে ঢের বাকি,
বাসন মাজবো, উঠান ঝাড় দেব
কনো করো ডাকাডাকি।
টলমলে চোখে চেয়ে বলতো
ওরে লক্ষ্মী ময়না,
আমি ছাড়া তোর কেউ নেই, বুঝবি
যেদিন আমি থাকবোনা।
অলক্ষুণে কথা শুনে
গায়ে ধরতো আমার জ্বালা,
বলতাম তারে এমন কথা
শুনতে লাগে না ভালা।
হতাশার সূরে বলতো আমায়
জীবন ধরিয়া বাজী,
উত্তাল সাগরে নৌকা ভাসাই
আমি যে, নৌকার মাঝি।
বুকের ভেতর হুহু করে
উঠতো তাহার কথায়,
কাঁপা ঠোটে বলতাম তারে
ভগবান আছে সেথায়।
বুঝতে পারিনি এমন করে
সত্যি হবে তার কথা,
মাথা উপর থেকে সরে যাবে
আমার সুখের ছাতা।
গিয়েছিল সেদিন মাছ ধরতে
গভীর ঐ সাগর জলে,
ফিরেনি আর, ফিরবেনা সে
ডুবে গেছে সাগর জলে।
জীর্ন শীর্ণ কুঁড়ে ঘর খানি
ভালোবাসায় ছিলো ঘেরা,
উত্তাল সমুদ্র কেড়ে নিলো
আমার সুখের ডেরা।

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়