ইউএফও তে চড়ে কারা আসে?



ভিনগ্রহ শব্দটি তোমরা অনেকেই শুনেছো। কারণ তোমরা অনেকেই সিনেমা বা কার্টুনে এক ধরনের অদ্ভূত ধরনের প্রাণী দেখে থাকবে যা কোনো গোলাকার এক ধরনের যানে চেপে পৃথিবীতে আসে। তোমাদের মনে কৌতুহল থাকে যে প্রাণীকে তোমরা দেখছো তারা তো মানুষের মতো নয়। তাহলে এরা কারা? কোথায় থাকে? কেনই বা এরা মাঝে মধ্যে পৃথিবীতে আসে? সত্যিই কি এই ধরনের কেউ পৃথিবীর বাইরে থাকতে পারে? এরকম কত প্রশ্নই না তোমাদের মনে থাকে। এই অপরিচিত এবং অদেখা প্রাণীগুলোকেই বলা হয় ভীন গ্রহের প্রাণী। অর্থাৎ পৃথিবীর বাইরেও আরও প্রাণী আছে যাদের সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। যাদের আজ পর্যন্ত কেউ দেখতে পায়নি। ফলে ভিনগ্রহের প্রাণী আসলে দেখতে কেমন হবে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। আমাদের পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা প্রাণপ্রণ চেষ্টা করছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে। তবে তারাও আমাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে কি না সেটা কিন্তু বোঝা যায় না। আবার এমনটাও হতে পারে যে তারা আমাদের সম্পর্কে সব জানে! কারণ সেই যে গোলাকার চাকতির মতো যানগুলো আকাশ দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখা গেছে সেসব তো কেউ কেউ সত্যিই দেখেছে? যদি সেগুলো ভিনগ্রহের প্রানীদের যানবাহন না হয় তাহলে আর কি! সাধারণত বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা যায় তারা আমাদের চেয়েও প্রযুক্তিতে উন্নত। কারণ এই যান মুহূর্তেই আকাশেই অদৃশ্য হয়ে যায়। কোথায় যায় কেউ ধরতেই পারে না। জাদুর মতো মিলিয়ে যায় তারা। যদি তারা প্রযুক্তিতে উন্নত না হতো তাহলে কি এত তাড়াতাড়ি অদৃশ্য হতে পারতো? এই ভিন গ্রহের প্রাণীদের বহনকারী যানকে সংড়্গেপে বলা হয় ইউএফও (আনআইডেনটিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট)। এদের নিয়ে আজ পর্যন্ত ভুড়ি ভুড়ি গল্প,সিরিয়াল,সিনেমা ও কার্টুন তৈরি হয়েছে। সেসব জায়গায় তাদের বিভিন্ন রকম দেখানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো সত্যিই কি পৃথিবীর বাইরেও কোনো জায়গা আছে যেখানে আমাদের মতো বা আমাদের চেয়েও উন্নত কোনো প্রাণী রয়েছে? ভাবতে পারো তোমার মতো দুষ্টুমিতে অন্য কোনো গ্রহেও কেউ বড় হয়ে উঠছে! তাদের তুমি কি বলবে? যদি তারা কোনোদিন তোমার সামনে এসে দাড়ায় তখন কি অবস্থা হবে তোমার একবার ভেবে দেখ তো? তোমরা জেনে অবাক হবে যে গত ২০ বছরে ১২০ টির বেশি এমন ঘটনা প্রত্যড়্গ করা গেছে। এই ভিন গ্রহের যান নিয়ে পৃথিবীর বড় বড় বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন, পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, পৃথিবীর নানা দেশে নানা সময় আকাশে উড়তে দেখা গেছে এগুলোকে। এদের আকৃতি কখনো গোলাকার,চাকতির মতো বা চারকোণা বলে শোনা যায়। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় নি যে বস্তুগুলো প্রকৃতপক্ষে কি হতে পারে। সবকিছু থেকেছে অনেকটাই অনুমানের ওপর। তোমরা যে আজ সিনেমায় বা কার্টুনে এসব বস্তু বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের দেখছো তা কিন্তু কল্পনাতেই আঁকা। কারণ এসব প্রাণীকে কেউ তো আর দেখতে পায়নি। তাই তারা দেখতে কেমন, লম্বা না বেঁটে, মাথায় চুল আছে না নেই, তারা কি আমাদের মতো খাওয়া- দাওয়া করে এসব নিয়ে কোনো প্রমাণাদি নেই। যেহেতু উড়ন্ত ইউএফও দেখা গেছে এবং এ বিষয়ে কিছু ব্যক্তি আছেন যারা তা দেখেছেন এবং এগুলো পৃথিবীর মানুষের তৈরি কোনো প্রযুক্তি না তাই ধরে নেওয়া যায় ভিন গ্রহে কেউ থাকে। তবে কারা থাকে তা কবে জানা যাবে এ নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে কি না। তারা তো আর আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি! আবার কে জানে আমরা যেমন তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি তারাও আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চায়। তখন কেমন হবে বলতো? মানুষের সাথে অন্য রকম এক প্রাণীর যোগাযোগ হবে। যাতায়াতও শুরু হতে পারে সেই দেশে।

তথ্য ও ছবি- ওয়েবসাইট অবলম্বনে


কবি অলোক আচার্য

সকল পোস্ট : অলোক আচার্য