এক পাগলীর প্রণয়গীতিকা/সিলভিয়া প্লাথ

অনুবাদ : রহমান হেনরী

আমি এই চক্ষুদ্বয় মুঁদি আর বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যায় মরে;
যখন চোখের পাতা খুলি, পুনরায় জন্মে সবই এই ধরণীতে।
(মনে হয়, তোমাকে গড়েছি আমি চিন্তাজুড়ে, স্বপ্নের ভেতরে।)

নীল ও লালের মধ্যে, তারা জাগে জোড়ায় জোড়ায়, নৃত্য ক’রে
আর আসে সার্বভৌম অন্ধকার ধাবমান অশ্বের গতিতে:
আমি এই চক্ষুদ্বয় মুঁদি আর বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যায় মরে;

স্বপ্ন দেখতাম, জাদুমুগ্ধ করছো তুমি বিছানার ‘পরে
আর চন্দ্রাহতের মত সুর তুলে, বিপর্যস্ত করে দিচ্ছো উন্মত্ত চুম্বনে।
(মনে হয়, তোমাকে গড়েছি আমি চিন্তাজুড়ে, স্বপ্নের ভেতরে।)

ঈশ্বর দিতেছে খুলে আকাশের উর্ধ্বাঙ্গবসন, দোজখের তেজ যাচ্ছে সরে:
ফেরেস্তা, শয়তানঝাঁক চলে যাচ্ছে যেন কোনও সুদূরের বনে:
আমি এই চক্ষুদ্বয় মুঁদি আর বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যায় মরে;

বিশ্বাস ছিলো মনে, ওভাবেই ফিরবে তুমি, প্রতিশ্রুতি যতটা কড়কড়ে,
অথচ বুড়িয়ে যাচ্ছি, তোমার ও-নামও আজ মুছে যাচ্ছে বিস্মৃতি-বাতাসে।
(মনে হয়, তোমাকে গড়েছি আমি চিন্তাজুড়ে, স্বপ্নের ভেতরে।)

হয়তো উচিত ছিলো বজ্রপাখিকে ভালোবাসা, এরকম করে;
অন্তত বসন্তকালে কূজনমুখর ওরা একবার ঠিকই ফিরে আসে।
আমি এই চক্ষুদ্বয় মুঁদি আর বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যায় মরে;

(মনে হয়, তোমাকে গড়েছি আমি চিন্তাজুড়ে, স্বপ্নের ভেতরে।)