ওলে সোয়েঙ্কা’র তিনটি কবিতা

ওলুওলে আকিনওয়ান্ডে বাবাটুন্ডে ওলুডাইন্ডে আইসোলো “ওলে” সোয়েনকা (১৩ জুলাই ১৯৩৪- ) সাহিত্যে নোবেলজয়ী একজন নাইজেরীয় নাট্যকার ও কবি। ১৯৮৬ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। আফ্রিকা থেকে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয় করেন। তাকে নাইজেরিয় নাট্যশিল্পের উন্নয়নের রুপকার বলা হয়।

ভাষান্তর: কামাল রাহমান

তেল মাখি শরীরে আমার
তেল মাখি আমি শরীরে আমার
পবিত্র বলে গণ্য হয় ভাবনা, কৃশ
নীরবতার তেলে
তোমাকে ডাকি সামনে, এই তো সব, মধ্য দিয়ে
এক আলোর সারি। দূর হয়ে যাক
আঁধার।

তেল মাখি কণ্ঠস্বরে আমার
অতপর শব্দ করুক এটা
অথবা মিলিয়ে যাক ঐ নিঃসঙ্গ পথে,
তোমার রিক্ততায়। স্বরগুলো নতুন প্রতিধ্বনি
তুলবে যখন
আবার উঠে আসবে শয়তান

তেল মাখি আমি হৃদয়ে আমার
শুয়ে থাকি শিখার ভেতর, কাটাই একা
তোমার ঘৃণার ভস্মের ভেতর-
মরুক শয়তান।

পুঁজি
এটা হয় না
ঐ জীবানু, যা প্রতিপালন করে পৃথিবী
গ্রাহ্য করেছে মানুষ- যখন দেখছিলাম একটা জলপ্রপাত
জীবানুর, শস্য ছড়ানো এক প্রাচুর্য
প্রকাণ্ড হা’র ভেতর থেকে উদগীরণ ওটার
সুখী, পরিতৃপ্ত; প্রতিজ্ঞা করে বলি আমি
গান গাইছিল, শস্যগুলো –

এটা হতে পারে না
ঐ নিয়ম, নীতি, মন্ত্রণা
বদলে দেয় সাদাভস্মে, জীবনের এই সব অঙ্গার আমার
দূষিত সমুদ্রগুলোয়
ছড়িয়ে থাকে বিষাদের ছত্রাক-শয্যা,
নোংরা টাকা ওড়াতে
বিশ্ববাজারে।

উজামা
(জুলিয়াস নায়েরেরের জন্য)
ঘাম হচ্ছে পৃথিবীর জন্য এক খামি
শ্রদ্ধা প্রকাশ নয় এটা। পৃথিবী পূর্ণ করে,
কোনো বদলা চায় না এটা পৃথিবীর কঠিন শ্রম হতে।
ঘাম হচ্ছে পৃথিবীর জন্য এক খামি
দুর্গে অধিষ্ঠিত কোনো দেবতার জন্য বন্দনা নয় এটা
শৃঙ্খল মোচন করে তোমার অন্ধকার পৃথিবী
মৃত বাণীবাহকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত আশা, অন্তজন্মা
প্রমাণ করে অন্ধবিশ্বাসী হতে
নির্দয়তা হতে নির্মম শিকারীদের, চির অতৃপ্ত রাখে
মানবতা লুণ্ঠনকারীদের। ওদের বিচালি ও
ঘাম হচ্ছে খামি, রুটি, উজামা
পৃথিবীর রুটি, পৃথিবী দিয়ে
পৃথিবীর জন্য। পৃথিবী হচ্ছে মানুষ।