গহীন ভালোবাসা।। অয়ন্তী সাহা

‘তোমার রক্তের প্রতিটি ফোঁটায় লেখাছিলো আমার ধ্বংস, তবুও হতে চেয়েছিলাম তোমার হৃদয়কোণের ছোট্ট একটি অংশ’।

জানো যখন প্রথম তোমাকে দেখেছিনু তোমার চোখের চঞ্চলতায় মন মোহিত করেছিলো। রজনীগন্ধার সুগন্ধি বাতাসকে সুবাসিত হচ্ছিলো। তোমার নুপুরের ঝংকারে আমার সম্মোহন ভাঙলো। তোমার কন্ঠস্বরটা আর আমাদের প্রথম দেখা। সেদিনই বুঝেলাম তোমার ভালোবাসায় আমার ধ্বংস।

হঠাৎই দমকা হাওয়ায় ডায়েরীর পাতাগুলো উল্টে গেলো, কয়েকটি শুকনো গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে গেলো।

‘জানো মোহিনী, তোমার মুখে প্রথম যখন আমার নামটা শুনলাম’। ‘হ্যাঁ, সৌম্য বলে ডেকেছিলাম, তুমি অবাকচোখে তাকিয়ে ছিলে। ধীরে ধীরে যেন তোমার মতো আমিও অজানা রোগে পড়লাম’।
এইবলে দু’জনে হাসতে লাগলো। হঠাৎ-ই কথোপকথনের মাঝে চুরির খন-খন্ শব্দে মোহিনী চমকে উঠলো। একটানে সৌম্যকে টেনে অন্দরে নিয়ে গেলো।
‘এখনো ভয়, মোহিনী এখনো????’
‘মৃত্যুর আগেও এতো ভীত ছিলাম না ভেবেছিলাম যে তোমাকে আর হারাতে হবেনা অন্তত তোমার আত্মার সাথেই অন্তঃমিলন ঘটবে আমার আর তা দিয়েই রচিত হবে জাগতিক সম্পর্কের উর্ধ্বে চিরশাশ্বত প্রেমকাহিনীর’।
আস্তে আস্তে গহীন অন্ধকারে ডুবে গেল দু’জনে।

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়