ত্যাগের স্বাধীনতা।। শাহনাজ শারমিন

মাগো,ওমা ওরা আমার দেশটা
কেড়ে নিতে চায়,
জীবন বাজী ধরে করব যুদ্ধ
ওদের দেবো না ঠাঁই।
মা কইলো ওরে বাছা,
দুখিনী মায়ের ধন,
কেমন করে দেবো বিদায়
আমার মানিক রতন।
তুই তো আমার একমাত্র বাছা,
আমার জীবন মরন,
তুই বিহনে কেমনে থাকব
ছেড়ে দে তোর পণ।
এমন করে দিওনা বাঁধা
এ দেশটা তো মা আমার,
রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা আনবো
দুঃখ মুছাবো তোমার।
মা,ছেলের কথা শুনে
শেফালীর চোখে জল,
হেসে সাজু কইলো ওরে পাগলী
বুকে রাখিস বল।
ফিরে আসিব বীর বেশে
স্বাধীন করে মোর দেশ,
মেহেদি রাঙা লাল শাড়ীতে
লাগবে তোকে বেশ।
অপেক্ষায় থাকিস প্রাণের প্রেয়সী
দিয়ে গেলাম তোকে কথা,
এপারে যদি না হয় মিলন
ওপারে খুঁজিস, পাবি আমারে সেথা।
বিদায় নিলো প্রাণের খোকা
দেশ মাতৃকার টানে,
খবর খানা পৌঁছে গেল
পাক হানাদারের কানে,।
নরকের কিটেরা তুলে নিলো
সাজু মিয়ার মাকে,
ধর্ষন আর আত্যাচার করেও
বাঁচতে দেয়নি তাঁকে।
শেফালীকেও দেয়নি রেহাই
পিঁশাচ ঘাতকের দল,
নির্যাতনের পর ফিরছিলো ঘরে
পেটে নিয়ে ওদের কুকর্মের ফল।
আত্মহত্যা করেছিলো শেফালী
সম্ভ্রম হারানোর দুঃখে,
আজও পাগল সাজু মিয়া
সব হারানোর শোকে।
লাখো শহীদের রক্তে গাঁথা
প্রাণের স্বাধীনতা,
ছয় লাখ মা বোনের সম্ভ্রম হারানো
বেদনার স্মৃতি কথা।।।

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়