নীলাঞ্জনা।। সুপ্রিয়া বিশ্বাস

নীলাম্বরী নীলাঞ্জনা,
দেখেছিলাম একদিন তোমায় বৃষ্টিমূখর বিকেল বেলায়,
দাঁড়িয়ে ছিলে একাকী নীরবে নির্জনে কদমতলে
একগুচ্ছ বর্ষার কদম হাতে।
আমি যাচ্ছিলাম মেঠোপথ ধরে দূরের কোনো গায়।
নিষ্পাপ নিষ্কণ্টক মায়াভরা মুখোচ্ছবি
প্রথম দেখাতে চাঁদের মত মনে হলো আমার কাছে।
আমি টিপ টিপ বৃষ্টিতে ভিজে দাঁড়িয়ে রইলাম কদমতলে ঠাঁই।
তুমি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলে আকাশ পানে চেয়ে,
আমি সকল নীরবতা ভেঙ্গে বললাম তোমায়,
‘দাঁড়িয়ে কেনো?’
তুমি চকিতে চাইলে আমার দিকে।
বললে, ‘ছাতা নেই সাথে তাই।’
‘বাড়ি কোথায়?’
‘এইতো পাশেই।’
‘নাম কি?’
‘নীলাঞ্জনা।’
দু’জনাতে আর কোন কথা নেই।
আমি জানি না তোমার আর কোনো ঠিকানা।
বৃষ্টি শেষ হলো অচিরেই,
চলে গেলাম দু’দিকে দু’জনেই।
পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম তোমাকে
চোখাচোখি হলো একবার
দেখলাম তুমিও পিছন ফিরে দেখছো আমাকেই।
কত বর্ষায়, কত বসন্তে পাড়ি দিলাম সেই মেঠোপথ
দাঁড়িয়ে আছে সেই বয়সী কদম গাছ
আজো হলুদ কদম ফোঁটে প্রতি বরষায়।
অথচ
আর কখনো আমি দেখিনি তোমায়।
তবুও কেন জানি,
মনে পড়ে তোমার মুখখানি।
মেঠোপথ ধরে যাবার পথে আজো চকিতে চাই
যদি দেখা পাই একবার তোমায়
এই আশায়।
জানি আজ তুমি বহুদূরের কেউ।
তোমার ঠিকানাও আমার জানা নেই।
তবুও
নীলাম্বরী নীলাঞ্জনা
কেনো যেন
আজও খুঁজি আমি তোমাকেই।

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়