রম্যরচনা-আঁখ মারে।। জাহিদুল যাদু

মেয়েটি সুন্দর, নজর কাড়া সুন্দরী কোন সন্দেহ নেই। পাড়ার ছেলে ছোকড়ারা তার পিছে বনবন করে ঘুরতে থাকে। মেয়েটির কোমর পর্যন্ত ঘনকালো চুল আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন। মেয়েটি স্যালো মেশিনের মতো খটখট করে হাসে…..
সোনিয়া, এই বছর এইচ এসসি পাশ করেছে। ঢাকায় পড়বে বলে কোচিং করছে। বিকাল চারটায় বাসা থেকে নেমে রিক্সা ধরে কোচিং-এ যায়। রিক্সা অবশ্য ধরাই থাকে, সোনিয়া উঠে পড়ে। সোনিয়াকে রিক্সা ভাড়া দিতে হয়না। ছেলে ছোকড়ারা ভাগাভাগি করে দায়িত্বটা নিজেদের কাঁধে নিয়েছে। কতোজন লাভার এই মূহুর্তে তার সঠিক হিসাব সোনিয়ার জানা নেই।

ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করে যেদিন পার্মানেন্টলি ঢাকার বাস ধরলো সেদিন বাসস্ট্যান্ডে উঠতি ছেলে-ছোকড়াদের বিশাল সমাবেশ। বাস ছেড়ে দিলো সোনিয়া জানলা দিয়ে মাথা বের করে হাত নেড়ে ডান চোখটা পিট করে মেরে দিলো। ছেলে-ছোকড়াদের একটা কোরাস গর্জন আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে দিলো।সোনিয়ার বাবা হাত নেড়ে মেয়েকে বিদায় জানালেন আর আক্ষেপের স্বরে খুব আস্তে করে বললেন, ‘মেয়ের ডান চোখের পিটপিটানি মুদ্রা দোষটা আর গেলো না।’ এরপর! বাকিটা ইতিহাস……
বাসস্ট্যান্ড জুড়ে সমবেত সঙ্গীত প্রকম্পিত হতে থাকলো ‘আঁখ মারে ও লেড়কি আঁখ মারে….!’

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়