স্বপ্নের পদ্মা সেতু।। রবিউল আলম মুকুল

আমাদের স্বপ্নের সোনালি বাংলা,
চিরসবুজ সুজলা সুফলা,
বাংলার প্রকৃতিতে সৌন্দর্যে ঘেরা,
চারদিকে জালের মতো ছড়িয়ে আছে নদী নালা।
কালের পরিবর্তনে ঘুরে ঘুরে আসে ছয়টি ঋতু।
উন্নয়নের দৃষ্টান্ত, পদ্মা নদীর উপর সেই স্বপ্নের বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু।
মুন্সীগঞ্জের সাথে শরীয়তপুর, মাদারীপুর হবে যুক্ত,
তাতে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে,
উত্তর-পূর্ব অংশ হলো সংযুক্ত।
এই পরাধীন বাংলা ,
স্বাধীন হওয়ার সাথে সম্পৃক্ত ছিল ,
সেই ৭ই মার্চের জ্বালাময়ী ভাষণ।
এই ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু এই বাংলার উন্নয়নের একটি গর্জন।
ইতিহাস সাক্ষী পদ্মা সেতু একটি চ্যালেঞ্জিং অর্জন।
এই পদ্মা সেতু ছিল মানুষের মধ্যে একটি রহস্যের গল্প,
বঙ্গকন্যা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে করে এই চ্যালেঞ্জিং নির্মিত প্রকল্প।
বঙ্গকন্যা বুঝিয়ে দিয়েছে কথা নয় ,
কাজে বড় হতে হয়।
সৎ সাহস থাকলে নেই ভয়,
এই পদ্মা সেতু তার প্রমাণ হয়।
নিচের স্তরে স্বপ্নের রেলপথ, উপড়ে স্তরে চার লেনের সড়ক পথ।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আছে বাংলা একদম,
নেই কোন অংশে কোন কম,
এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু বিশ্বের ২৫ তম।
হে বঙ্গ কন্যা,এদেশের ঘাতকরা তোমাকে ভাসিয়ে দিয়েছিল রক্তের বন্যা।
তুমি হাবু ডুবু খেয়ে তীরে উঠেছিলে ধীরে ধীরে,
যদিও তোমার হৃদয়ে ছিল যন্ত্রণা মন ছিল অস্থির,
তবুও তুমি দেশের স্বার্থে
এদেশের মেহনতী মানুষের সাথে
নিজেকে রেখেছ স্থির।
হে বঙ্গ কন্যা, তুমি বাংলার উন্নয়নের বীর।
তুমি প্রতিবাদী, তুমি বজ্র কন্ঠ, তুমি এই দেশের কান্ডারী,
তুমি সাহসী, নও তুমি ভীতু।
তুমি উন্নয়নের দৃষ্টান্ত রেখেছো এই বাংলায়,
করে সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু।

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়