এত লিখে কী হবে? তবু মাথার ভেতরে বড়ো চিৎকার! কী এমন লেখার আছে আরও? উৎপাত থামে না সারাদিন! শব্দপোকা খেয়ে নেয় রাতের অধিক অহেতুক! এসব লেখায় কোনো কাজ নেই, যোগাযোগ নেই! আপন শ্রীমুখ আঁচানো কাগুজির দেখাশুনা নেই! ছুটে যাওয়া ট্রেনে স্বনির্মিত সেতু ও প্লাটফর্ম নেই এতটুকু! তবু কেন লেখা?
চাকা টেনে নিয়ে যায় নীলাকাশ। পঙক্তি সাজানো শেখায় পানকৌড়ি। এদের জন্য লিখি নাকি? বাঁশঝাড় নুয়ে পড়ে জ্যোৎস্নায়, ফলসার স্ফটিক পাতারা রোদে ঝেঁঝে ওঠে। অনেক পোড় খেয়ে বৃষ্টি আসে মাঠে, ডিম ফুটে লাফ দেয় সাপের শিশুরা। পৃষ্ঠা ভরে ওঠে ম্যাগাজিনে, সবুজ বারুদে। কিংবা চাঁদ ভাসে ফুটপাতে, আর মড়ার চোখের মতো রাত্রি ঝুঁকে বলে, ‘এজন্যই কি বেঁচে থাকা, জোনাকির মতো শুধু তারার আশায়?’
আমিও কি তাই লিখি, এইসব অসেতুলিখনে?
কবি পরিচিতি: কবি মৃন্ময় চক্রবর্তী ১৯৭৬ সালে দক্ষিণ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চারুচন্দ্র কলেজ থেকে বাণিজ্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : বেঁচে থাকার স্বপ্নগুলি ( ২০০৪), এই মৃগয়া এই মানচিত্র ( ২০০৮)। পাঁচালি কাব্য: ভুখা মানুষের পাঁচালি ( ২০০৯), ছিন্নপদগ্রাম (২০১৮), পুতুলগুলো পোড়ামাটির (২০১৯)।
পুরস্কার : এপার ওপার সাহিত্য সম্মান ২০১৮।