নির্বাচিত লেখা

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের পঞ্চম প্রয়াণ দিবস

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের পঞ্চম প্রয়াণ দিবস আজ। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ৮০ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন…

বিস্তারিত পড়ুন

জন্মদ্বিশতবার্ষিকীতে নবজাগরণের অবিসংবাদিত পুরুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ঊনবিংশ শতাব্দীতে বঙ্গীয় অঞ্চলে নবযুগের যে সূচনা হয়েছিল, তার অন্যতম উদ্যোক্তা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বাঙালি সমাজে প্রগতিশীল…

বিস্তারিত পড়ুন

শুভজন্মদিন নীললোহিত

‘প্রথম আলো’ থেকে ‘নীরা’ অমর কীর্তির মহানায়ক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী আজ।

‘আমি এমনভাবে পা ফেলি যেন মাটির বুকেও আঘাত না লাগে। আমার তো কারুকে দুঃখ দেবার কথা নয়।’

বাংলা সাহিত্যের প্রথিতযশা সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিনে আজ আগামীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য।

‘কেউ কথা রাখেনি’ সখেদে লিখেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। এই কবিতায় পেয়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয়তা। কেউ কথা রাখুক আর না রাখুক আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে ঠিক মনে রেখেছে তাঁর পাঠক। ১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন সুনীল। আজ তাঁর জন্মদিন। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

সুনীল কবিতাবিষয়ক পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস’ সম্পাদনা শুরু করেন ১৯৫৩ সালে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একা এবং কয়েকজন’ ১৯৫৮ সালে আর প্রথম উপন্যাস ‘আত্মপ্রকাশ’ ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত হয়। সুনীলের অমর কীর্তির মধ্যে রয়েছে ‘অর্ধেক জীবন’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘প্রথম আলো’, ‘সেই সময়’, ‘পূর্ব পশ্চিম’, ‘মনের মানুষ’ প্রভৃতি। লিখেছেন ‘কাকাবাবু’ নামে জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজ।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম বাংলাদেশের মাদারীপুরে। মাত্র চার বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে চলে যান কলকাতায়। সেখানেই শিক্ষাজীবন, কর্মজীবন ও জীবনাবসান। জীবনানন্দ-পরবর্তী সময়ের আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে তিনি স্বীকৃত। লেখকজীবনে নীললোহিত, সনাতন পাঠক ও নীল উপাধ্যায় ইত্যাদি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। গতানুগতিকতার বাইরে লেখালেখির কারণে সাহিত্যে স্থায়ী আসন লাভ করেছেন।

যেভাবে লেখা হয়েছিল বিদ্রোহী কবিতাটি

‘কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা’ বইয়ে মুজফফর আহমদ লিখেছেন, ”তখন নজরুল আর আমি নীচের তলার পূব দিকের, অর্থাৎ বাড়ীর নিচেকার দক্ষিণ-পূর্ব কোনের ঘরটি নিয়ে থাকি। এই ঘরেই কাজী নজরুল ইসলাম তার ”বিদ্রোহী” কবিতাটি লিখেছিল। সে কবিতাটি লিখেছিল রাত্রিতে। রাত্রির কোন সময়ে তা আমি জানিনে। রাত দশটার পরে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলুম। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে এসে আমি বসেছি এমন সময় নজরুল বলল, সে একটি কবিতা লিখেছে।”

”পুরো কবিতাটি সে তখন আমায় পড়ে শোনাল। ”বিদ্রোহী” কবিতার আমিই প্রথম শ্রোতা।”

‘কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা’ বইয়ে মুজফফর আহমদ এরপর বর্ণনা দিয়েছেন, যেহেতু তিনি সামনাসামনি কারো প্রশংসা করতে পারেন না, তাই কবিতা শোনার পরেও তিনি উচ্ছ্বসিত হতে পারেননি। তাতে মনে মনে কাজী নজরুল ইসলাম আহত হয়েছিলেন বলেও তার মনে হয়েছে।

”আমার মনে হয়, নজরুল শেষ রাত্রে কবিতাটি লিখেছিল, তা না হলে এত সকালে সে আমায় কবিতা পড়ে শোনাতে পারত না।….এখন থেকে চুয়াল্লিশ বছর আগে নজরুলের কিংবা আমার ফাউন্টেন পেন ছিল না। দোয়াতে বারে বারে কলম ডোবাতে গিয়ে তার মাথার সঙ্গে তাল রাখতে পারবে না, এই ভেবেই সম্ভবত সে কবিতাটি প্রথমে পেন্সিলে লিখেছিল।” লিখেছেন মি. আহমদ।

সেদিন বেলা হওয়ার পর ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকার আফজালুল হক সেই বাড়িতে আসেন। তাকেও কবিতাটি পড়ে শোনান কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি সেটা শুনে একটি কপি সঙ্গে নিয়ে যান।

মুজফফর আহমদ লিখেছেন, ”আমিও বাইরে চলে যাই। তারপরে বাড়িতে ফিরে আসি বারোটার কিছু আগে। আসা মাত্রই নজরুল আমায় জানাল যে, ‘অবিনাশদা (বারীন ঘোষেদের বোমার মামলার সহবন্দী শ্রীঅবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্য) এসেছিলেন। তিনি কবিতাটি শুনে বললেন, তুমি পাগল হয়েছ নজরুল, আফজালের কাগজ কখন বার হবে তার স্থিরতা নেই, কপি করে দাও, বিজলীতে ছেপে দেই আগে। তাকেও নজরুল সেই পেন্সিলের লেখা হতেই কবিতাটি কপি করে দিয়েছিল।”

বিদ্রোহী কবিতাটি ১৩৯-পঙক্তির।

১৯২২ সালের ৬ই জানুয়ারি শুক্রবার সাপ্তাহিক বিজলী পত্রিকায় প্রথম ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি ছাপা হয়। বৃষ্টি হওয়ার পরেও কাগজের চাহিদা এতো হয়েছিল যে, সেই সপ্তাহে ওই কাগজটি দুইবার মুদ্রণ করতে হয়েছিল।

তার ধারণা, মোসলেম ভারতের কার্তিক সংখ্যায় পরবর্তীতে সেটা ছাপা হলেও সেই সংখ্যাটি বের হয়েছিল ফাল্গুন মাসে।

মুজফফর আহমদ লিখেছেন, ”বিদ্রোহী ছাপা হওয়ার পরে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নজরুলের সাক্ষাৎকারের কথাও শ্রী অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্য লিখেছেন এবং নজরুলের মুখে শুনেই লিখেছেন। তাতে আছে, কবিতাটি রবীন্দ্রনাথকে পড়ে শোনানোর পরে তিনি নজরুলকে বুকে চেপে ধরেছিলেন।”

১৯২১ সালের ডিসেম্বর, ক্রিসমাসের রাত। কলকাতার ৩/৪সি, তালতলা লেনের একটি বাড়িতে বসে কাঠ পেন্সিলে এই কালজয়ী কবিতা লিখতে শুরু করেন সদ্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধফেরত বাইশ বছরের যুবক কাজী নজরুল ইসলাম।

কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার একশো বছর পূর্ণ হবে এইবছর ডিসেম্বর মাসে।

সংক্ষেপিত:
মূল প্রবন্ধ সায়েদুল ইসলাম রচিত। বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত।

শামসুর রাহমান : , ‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’

দেশ, দেশের মানুষ আর স্বাধীনতার কথা বারবার উঠে এসেছে যার কণ্ঠে; তিনি নগর কবি শামসুর রাহমান। যদিও কবি মাত্রই নাগরিক।…

বিস্তারিত পড়ুন

আজ কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস : ‘মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান’/সুপ্রিয়া বিশ্বাস

আজ ২২শে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০তম প্রয়াণ দিবস। মহাকালের চেনাপথ ধরে প্রতিবছর বাইশে শ্রাবণ আসে। এই বাইশে শ্রাবণ বিশ্বব্যাপী…

বিস্তারিত পড়ুন

ফাঁসির মঞ্চে ক্ষুদিরামের কথা চমকে দিয়েছিল জহ্লাদকে

সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : জন্মদিন তবু এমন সুখের দিনেও ঘুরে ফিরে আসে তাঁর মৃত্যু কাহিনী। ফাঁসির মঞ্চে যথারীতি এক কথায় জহ্লাদকেও…

বিস্তারিত পড়ুন

কী ছিল আইনস্টাইনের ‘গড লেটারে’?

আলবার্ট আইনস্টাইনের লেখা একটি চিঠি বিক্রি হলো ৩ মিলিয়ন ডলারে। কী ছিল এই চিঠিতে? কথিত এই গড লেটার লেখা হয়েছিল…

বিস্তারিত পড়ুন