ডালের বড়ি

বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে বৈচিত্র্যের সমাহার সেই আদিকাল থেকেই। এর স্বাদ,গন্ধ এবং দর্শনেও রয়েছে বৈচিত্র্যময়তা। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ডালের বড়ি। বিভিন্ন রকম ডাল দিয়েই বড়ি তৈরি করা যায়। মাষকলাই, এ্যাংকর, খেসারীর ডালের বড়ি বাজারে পাওয়া যায়। তাছাড়া কুমড়ো দিয়ে বড়ি তৈরির প্রচলনও রয়েছে।
শীতে আগমনের শুরুতেই গ্রামে-গঞ্জে বড়ি তৈরির ধুম পরে যায়। সারি সারি লম্বা টিন বা বড় কোনো শক্ত পাত্রে সারি সারি ডালের বড়ি রোদে শুকাতে দেয়। দূর থেকে তাকালে হলুদ, সাদা রঙের মিশেল অদ্ভূত সৌন্দর্য চোখে পরে। ডালের বড়ি তৈরর মূল কারিগর বাড়ির মহিলারা। সূর্যদয়ের শুরু থেকে এ তোড়জোড় শুরু হয়। মাষকলাইয়ের ডাল খোসা ছাড়িয়ে পরিস্কার করে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। সন্ধ্যায় চালকুমড়োর খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের নরম অংশ ফেলে ধুয়ে নিতে হয় পরিস্কার পানিতে। কুড়ানি দিয়ে কুমড়ো কুড়িয়ে মিহি করে পরিস্কার করে কাপড়ে বেঁধে রাতভর ঝুলিয়ে রাখতে হয়। কুমড়োর পানি ঝরে গেলে তার সাথে ডাল ও লবণ পরিমাণমতো মিশিয়ে দিতে হয়। সামান্য কালোজিরাও মেশানো যায়। তারপর তা রোদে শুকানোর পালা। শুকনো ঝরঝরে হলে তা খাওয়া ও বিক্রির জন্য প্রস’ত হয়। পুষ্টিগুণে অন্যন্য এই বড়ি বাঙালির কাছে এক অন্যতম প্রিয় খাদ্য। বিভিন্ন তরকরিতে, নিরামিষে, ডালের বড়ি খাওয়ার চল রয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন সংরক্ষণও করা যায়।

অ.আ প্রকাশকাল: 9:15 pm

কবি অলোক আচার্য

সকল পোস্ট : অলোক আচার্য