রুদ্র সাহাদাৎ-এর একগুচ্ছ কবিতা

সংসার সাজাই অন্ধকারে

উঠোনে তারাদের সাথে কথা বলতে বলতে হেঁটে চলেছি
হাজার হাজার রাতের প্রহর
অন্ধকারে খুঁজি আরো অন্ধকার

এসএমএস পড়ি না এখন, ফেইসবুকও
টুইটারও হয় না পড়া,হাসি না কতদিন হোয়াটস অ্যাপে
হলুদ চিঠিগুলো পড়ে আছে ধুলোজমা ড্রয়ারে।

কেনো যে বারেবারে সংসার সাজাই অন্ধকারে
সে কথা শুধুই মন জানে
কেনো যে বারেবারে পথ হারাই দিনদুপুরে
সে কথা শুধুই ঈশ্বর জানে।

দৌড়ায় না মন

বাবুদিঘীর জলে বঁড়শি ফেলে বইস্যা আছি
কোনো চণ্ডিদাস নই
মৎস্যপ্রেমিক।

তুই কলসি কাঁধে জল ভর কিংবা স্নান সারো
তাতে মোর কিচ্ছু যায় আসে না।

হাঁটে না কোনো চোখ দৌড়ায় না মন।

পারলে দেইখ্যা যাইস, কেমন ছিলাম, কেমন আছি।

মুহুরিপুকুর পাড় হয়ে আলিশান রোড়
সেই আগের ঠিকানায় এখনো থাকছি।

মানুষ

চলে না ঠ্যাংগাড়ি, ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদে চোখ
নৈঃশব্দে প্রস্থান, সুনসান নীরবতায় বিরহ ধ্বনি
যার হারায়, সেই বুঝে শুধু , হারানোর যন্ত্রণা
মানুষ হারিয়েই বারংবার খুঁজে প্রিয় মুখ

মানুষ, কোনোদিন যা চায় পায় না সঠিক
মানুষ, মরে গেলেই ইতিহাস, কিংবদন্তি মহামানব

জীবদ্দশায় মানুষের কোনো ম‚ল্য থাকতে নেই
মরিচীকা নাট্যমঞ্চে ক্লান্ত অভিনেতা

বয়স কমে গেলেই হাতে তাসবি
পশ্চিমে দে দৌড়….

কান পেতে শুনি

জীবনের কোনো সূত্র মিলে না আর
মরিচীকা সংসার
শত্রæর সাথে কারো কারো কোলাকুলি
দৌড়ায় চোখ
দিঘির জানালায় উঁকি দেয় অসুস্থ মুখ
মীরজাফর হাসে মাস্কের অন্তরালে।

কেনো যে বারেবারে সংসার ভাঙে জীবনমুখী গানে
সে কথা ঈশ্বর-ই ভালো জানে।

কান পেতে শুনি কে যেনো বলে যায়
আই গোসসা অইয়্যি…