স্বপ্ন-বিলাস।। মধুবন্তী আইচ

কাল তোমাকে দেখলাম মজে আসা জ্যোৎস্নালোকে,
আপাত শান্ত সাগরের পার ধরে হেঁটে চলেছো — ধীরে।
তিরতিরে ছোটো ছোটো ঢেউ এসে স্পর্শ করছে শুভ্র পায়ের পাতা,
প্রতিটি স্পর্শে কয়েক মুহূর্তের জন্য থমকে দাঁড়িয়ে অনুভব করছো
পায়ের নীচে গড়িয়ে যাচ্ছে রাশি রাশি পল অনুপল;
মিলিয়ে যাচ্ছে অনন্তের গহীন গহ্বরে — মহাকালের অমোঘ আকর্ষণে।
নিমীলিত চোখের পাতায় পাতায় জাগছে মৃদু কাঁপন,
যেন বিস্ময়ের দরজা খুলে দেখবে সামনে অপেক্ষারত
তোমার পরশকামিনী চাতক পাখি কোনো এক।
লোনা হাওয়া শুষে নিয়েছে সহস্ররাত-জাগা পিপাসার্ত তার দুই ঠোঁটের জলীয় বাষ্প,
মরা চাঁদের ফ্যাকাসে জ্যোৎস্নায় সমগ্র রাত ধরে সে খুঁজে বেড়িয়েছে স্ফটিকজল।

তোমার বুকের কাছে ওম্-জড়ানো মায়ার বাঁধনে বাঁধা পড়ুক সে ক্ষণকাল,
দুঃস্বপ্নের অমানিশা কাটিয়ে নির্মল স্বচ্ছতা ফিরে আসুক তার কোমল হৃৎপিন্ডে,
তোমার পেলব মেদুর আঙুলের ছোঁয়ায় সজীব হয়ে উঠুক তার শ্রান্ত দুই ডানা।
হাতের মুঠো খুলে আবারও তাকে অসীম সুনীলে উড়িয়ে দেওয়ার প্রাক্কালে
একবার তাকে শোনাও তোমার হৃদয়পুরের রূপকথা!
শেষ পারানির গানের সুরে তাকে বিদায় জানিও দিকচক্রবালের দোরগোড়ায়…।।

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়