হারিয়ে যাওয়া পাখি ডোডো//অলোক আচার্য


তোমরা আজ অনেক পাখির নাম জানো। সেসব পাখির ডাক তোমাদের খুব ভালো লাগে। দেখতেও সুন্দর। তোমরা জানো পৃথিবীতে এমন অনেক পাখি ছিল যেসব পাখি আজ আর পৃথিবীতে নেই। কোনোদিন ফিরেও আসবে না। তোমাদের জেনে মন খারাপ হবে যে এর কারণ কিন্তু আমরা মানুষরা। আমাদের কারণেই পৃথিবীর অনেক প্রাণী নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অনেক প্রাণী হারিয়ে যাওয়ার পথে। এর মধ্যে একটি চমৎকার পাখির নাম হলো ডোডো পাখি। যারা প্রথম শুনছো তার বেশ অবাক হলে তো! ডোডো নামেও যে একটি পাখি ছিল তা হয়তো অনেকেই জানতে না। পাখিটি উড়তে পারতো না। আর পাখিটির মাংস ছিল সুস্বাদু। পাখিটি একা একা ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করতো। নাবিকরা পাখিটিকে বোকা মনে করতো। কারণ সম্ভবত তাদের খুব সহজেই ধরে ফেলা যেতো। কিন্তু বোকা মূলত সেই সব মানুষ যাদের কারণে আজ পাখিটি বিলুপ্ত হয়েছে। ফলে শিকারীরা খুব সহজেই তাদের ধরতে পারতো। এভাবে শিকারীর খাবারে পরিণত হওয়ায় ক্রমেই বিলুপ্ত হতে থাকে পাখিটি। মূলত তাদের লোভের ফলেই ডোডো পাখি আজ নিশ্চিহ্ন হয়েছে। পাখিটি মাদাগাস্কারের পূর্বে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত মরিশাস দ্বীপে স্থানিক প্রজাতি। দ্বীপে বসবাসের জন্য উপযুক্ত নিরাপদ পরিবেশ ছিল। প্রজননও ছিল নিরাপদ। ফলে তারা এখানকার বাসিন্দা হয়ে উঠেছিল। তবে তারা বুঝতেও পারেনি এখান থেকেই তাদের নিশ্চিহ্ন হতে হবে! কোথাও ডোডো পাখির আকার মুরগীর সমান আবার কোথাও এর চেয়ে বেশ বড় আকৃতির ডোডো পাখির কথা উল্লেখ আছে। মূলত বহু আগে নিশ্চিহ্ন হওয়া এবং যতদিনে আমরা পাখিটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি ততদিনে পাখিটির অস্তিত্ত্ব অনেকটাই হারিয়ে গেছে। জানা যায়, ডাচ নাবিকরা প্রথম দ্বীপপুঞ্জে নেমে এলে এর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৫৯৮ সালে। কেবল ডোডো পাখিই নয়, মানুষের কারণে আজ বহু প্রাণীর অস্তিত্ত্বই হুমকির মুখে দাড়িয়ে আছে। ডোডোর মতো আরও কোনো প্রাণীও হয়তো এক সময় ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিবে!

অ.আ প্রকাশকাল- 2:00 pm







































কবি অলোক আচার্য

সকল পোস্ট : অলোক আচার্য