হুমায়ূন আহমেদ; জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

বাংলা সাহিত্যের এক অপার বিস্ময়ের নাম হুমায়ূন আহমেদ। তার সৃষ্টিকর্মের প্রতিটি শাখায় ছিল পাঠক, দর্শককে আকর্ষণ করার মন্ত্রমুগ্ধ ক্ষমতা। হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকতে যেমন তার লেখার জাদুতে মুগ্ধ রেখেছেন পাঠককে, তার মৃত্যুর পরেও পাঠক হুমায়ূন আহমেদকেই খুঁজে বেড়ায়। বাংলাদেশের সাহিত্যে প্রবাদ পুরুষ হুমায়ূন আহমেদ। মৃত্যুর পরেও তার জনপ্রিয়তা এখনও তুঙ্গে। তার তুলনা কেবল তিনি নিজে। তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, চিত্রনাট্যকার, চলচিত্র নির্মাতা। বহু গুনে গুণান্বিত এই মানুষ ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অমূল্য রত্ন।বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। হুমায়ূন আহমেদ চলে যাবার পর পাঠক তৈরি করে এমন কেউ বাংলা সাহিত্যে আসেনি। হয়তো আর বহুযুগ আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিটি বইমেলায় আজও তার বই কিনতে পাঠকের ভিড় তার জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়। তার সৃষ্টি করা তুমুল জনপ্রিয় দুটি চরিত্র হচ্ছে হিমু এবং মিসির আলী। রুপা ও শুভ্র তার অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র। লজিক এবং এন্ট্রি লজিক চরিত্র হচ্ছে হিমু ও মিসির আলী। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন পাঠক নন্দিত লেখক। ১৯৭২ সালে তার প্রথম উপন্যাস ‘ নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হয়। প্রথম উপন্যাসেই তার লেখা পাঠকের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন এবং নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিমার রসায়ন শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন।
১৯৯৪ সালে তার দেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র “ আগুনের পরশমণি’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরুস্কার সহ আটটি পুরুস্কার লাভ করেন। এরপর শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী ও ঘেঁটু পুত্র কমলা সহ বহু সফল চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।বাংলা নাটকেও লেগেছিল তার পরশমণির ছোঁয়া।তার কোথাও কেউ নেই, অয়োময়, বহুব্রীহি সহ বহু জনপ্রিয় নাটক নির্মাণ করেন।
হুমায়ূন আহমেদের স্পর্শ যেন সফলতার অন্য নাম। সহজ, সরল সাবলীলভাবে গল্পের ভেতর টেনে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল তার।তার লেখার বহু বর্ণনায় বৃষ্টি, জোস্না, তার লেখার জাদুতে মুগ্ধ থাকবে যুগ যুগ ধরে।আজ ১৩ নভেম্বর এই মহান লেখকের জন্মদিন।তার জন্মদিনে আজ আগামীর পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি রইলো।

অ.আ প্রকাশ – 7.49 AM

কবি অলোক আচার্য

সকল পোস্ট : অলোক আচার্য