আমরা একদিন যখন হংসমিথুন হতে চেয়েছিলাম,
রাজ্যহীন রাজার সেই দুরন্ত যৌবনকাল তখন
দুর্ভিক্ষের দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল!
কাছাকাছি হলেও পাশাপাশি হতে পারিনি আমরা
কোনো কালে।
মন্টুর দোকানের চার আনার এককাপ চা আর
দুখানা সিঙ্গারা কিংবা চিড়ার মোয়ায় রসনা তৃপ্ত করতে
বাকির খাতায় লিখাতে হতো নাম!
কাঠফাটা রোদে কারিকর বিড়িতে সুখটানের নেশায়
হরি কর্মকারের দোকানে দৌঁড়ে দৌঁড়ে
ঝরিয়েছি ঘাম!
উদীচীতে বসে হারমোনিয়াম রিডে হাত রেখে ভাবতাম
যখন আসবে তুমি ঠিকঠাক বলে দেবো
কতটা ভালোবাসি তোমায়!
প্রতীক্ষা আর অস্থিরতায় হাজার বছর কেটে গেছে আমাদের না-বলা সময়।
তারপর কতটা কাল কাটল ভালোবাসি হয়নি বলা,
হাত ধরাধরি করে হয়নি চলা!
একদিন নিরুদ্দেশে পাড়ি জমালাম ইটকাঠের শহরে।
প্রতি পলে পলে খুঁজে হয়রান হই ভালোবাসি যাহারে!
নিয়নবাতির শহরে ঝিঁঝিঁপোকা নেই, চাঁদ নেই
তুমি নেই বলে ডুবে গেলাম শুধু অকূল অন্ধকারে।
তারপর হঠাৎ শুনলাম তোমার প্রস্থানের খবর,
অজানা কোন অভিমানে চলে গেছ তুমি
কিছু না বলে!
আমি এখনো দূরদৃষ্টিতে খুঁজে পাই তোমাকে
পুকুরের স্বচ্ছজলে ডুবিয়ে দুই পা মিটিমিটি হেসে
দগ্ধ করছ আমাকে পলে পলে!