জীবনাকাশে একটি নক্ষত্রের নাম- নীরু।
ভুল কক্ষপথে যে হারিয়ে গেছে বহুবছর পূর্বে
আমি আজ আর তার ঠিকানা জানি না!
বসতি চিনি না!
নয়নতারা হয়ে যে ফুটেছিল একদা প্রথম যৌবনে,
জলের কলরবে ভরিয়ে তুলেছিল নদীর দু’পাড়।
প্রেমের পাল তুলে ভাসিয়েছিল প্রমোদতরী,
মাঝি হয়ে ধরেছিল হাল,
সেও একদিন ঝড়ো আঘাতে পর্যুদস্ত বেসামাল
রাতের আঁধারে ভেড়ালো ডিঙ্গা, অচেনা বন্দরে, হলো নিরুদ্দেশ-
দীর্ঘকাল অপেক্ষায় থেকে থেকে আজও পাইনি তার সন্ধান!
মাঝপথে নেমে যাওয়া নিরুদ্দেশ যাত্রী
কোথায় আছে, কেমন আছে, জানে কি ধ্রুবতারা?
আমাকে যে শিখিয়েছে ভালোবাসার ধারাপাত,
প্রেমের দীক্ষায় করেছে ঋণী
চিনিয়েছে ভরা ফসলের ক্ষেত,
সুখের চাষাবাদ!
নীরু, কী করে ভুলি তোমারে
কী করে অস্বীকার করি প্রথম যৌবনের পাঠ?
নদীর সেই জলধারা নেই,
ভেঙ্গে পড়ছে পাড়,
আকাশ তেমনই রয়েছে
উদিত হয়নি নক্ষত্র আর!
(আ খা)
1.9.2021