পহেলা বৈশাখ

মেলায় যাই রে।। লুৎফর রহমান রিটন

চৈত্র শেষের রোদ ঝাঁঝালো
বৈশাখী সুর কে বাজালো?
ঝন্টু প্রীতম রুদ্র শাকের
শোন্‌ আবাহন এ বৈশাখের
আয় রে রবীন আয় রে ভোলা
চড়বি যদি নাগরদোলা
রোজারিও কৃষ্টিনা আয়
আলতা দিবি? তোর দুটি পা’য়?

হৃদয়ে বাংলাদেশ।। সঞ্জয় মুখার্জ্জী

এবার বোশেখ রুদ্র ভীষণ, অমানিশা মুছে যাক
এবার বোশেখ দৃঢ় প্রত্যয়ী, মানবতা টিকে থাক!
এবার বোশেখ প্রতিবাদী ঝড়, নেই ভয় বিপদের
এবার বোশেখ স্লোগান-ক্ষুব্ধ, ফাঁসি হোক শ্বাপদের!!

বোশেখ রঙে।। মালেক মাহমুদ

ওরে
লাগছে গায়ে ভোরের হাওয়া আনন্দ হাসফাস
বৈশাখীরঙ ধারণ করে বাংলায় করি বাস
বাংলা সনের প্রথমবেলা
বটমূলে বইছে মেলা
ভোর বাতাসে মন খুশিতে দেখতে চলো যাই
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকলে ভাই ভাই

শুভনববর্ষ রবীন্দ্রনাথ।। না‌সির আহ‌মেদ কাবুল

প্রতি‌টি নবব‌র্ষের সূর্যর‌ক্তিম প্রভাত‌বেলায় রমনার বটতলায় তোমা‌কে দেখি
ছায়ান‌টের অনুষ্ঠা‌নে মৃদ‌ঙ্গের তা‌লে তা‌লে
নে‌চে বেড়াতে;
পাতায় পাতায় কাঁপন জাগাতে
অন্তর ম‌থিত ম‌ন্দ্রিত গা‌নে, সু‌রে, বেহা‌গে;
তু‌মিই আমা‌দের সেই রবীন্দ্রনাথ!

শুভনববর্ষ।। কামরুজ্জামান আজাদ

মনে কিরাম কিরাম লাগতিচে
ধ্যানকুরকুর ধ্যানকুরকুর
বাদ্যি য্যানো বাজতিচে।
কিডা য্যানো কচ্চিলো কাইল
চত্তির মাসের শ্যাষ;
আরে বাশ্!

আসে বৈশাখ।। মাহমুদা রিনি

মেঘ, তুই আমার কথা শোন–
তোকে আমি গড়িয়ে দেব
সাতলহরি রুপোর বিছে মল
ছম ছম শব্দে বৃষ্টি ঝরাবি!
আরও যদি চাস, নোলক পাবি,
জলের রঙে কাব্য আঁকা নীলাম্বরী শাড়ী পাবি–
তোকে লাগবে যেন মেঘরাজ্যের আকাশপরী,
নাহয় দেব কানেও ঝুমকো দুল!