আমি দেবদাসের পারু,
কৃষ্ণের রাধা হতে পারি,
আমি চন্ডিদাসের রজকিনী,
মজনুর লাইলী, রোমিওর জুলিয়েট হতে পারি!
সুপ্রিয়া বিশ্বাস
তোমার ছোঁয়ায়।। সুপ্রিয়া বিশ্বাস
আমি একাকী অন্ধকারে খুঁজে খুঁজে মরি মিছেই আলোর পথ
যে পথের বাঁকে বাঁকে অচেনা সুর বাজে
চেনা নেই বন্ধু সুজন
সে পথ পাহাড়ী দূর্গম!!
হারিয়েছে সে কোথায় ?
জানা নেই পথের দিশা।
পথ পথিককে দেয় পথের ঠিকানা
পথিকও পথকে চিনে নেয়।
তুমি চিনে নাও আমায় অথবা আমিই চিনে নেব তোমায়।
তুমি তো খুব বেশি দুরে নও
দু’চোখের পাতার মাঝেও দুরত্ব আছে
তবুও
পাতা দুটো প্রতি পলকে পলকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় ।
আমি তো চাই-
দু’চোখের পাতার মত তুমিও পলকে পলকে ছুঁয়ে যাও আমায়।
যদি কখনো দু’চোখের দু’পাতা এক হয়ে যায়
তবে ঘুমিয়ে যাব শান্ত হয়ে বিছানায়,
তোমার ছোঁয়ায় আমি শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যেতে চাই।
তুমি দুরে কেন?
তোমার এ দুরত্ব আমার কাছে কুমেরুর মত মনে হয়।
তুমি রোদ্দুর হয়ে আমার উঠোনে এসো
প্রতিদিন সকাল বেলায়।
দূর্বাঘাস।। সুপ্রিয়া বিশ্বাস
আমি পৃথিবীর বুকে জন্মেছি সেই কবে!!
আমি পদদলিত, অশ্রুসিক্ত
আমি ব্যথিত হই বারেবারে।
তবুও একটু বৃষ্টির পরশে
আমি আবার মাথা তুলে দাঁড়াই
পৃথিবীর বুকে নবোদ্দমে।
আমি নই কুণ্ঠিত ,
আমি নই ভীত,
আমি চিরসবুজ,
আমি চির উন্নত,
আবার ভরে উঠি আমি
সবুজ অবয়বে।
আমি অনুপ্রেরণা ,
শতবার দলিত মথিত হয়েও
আমি বেঁচে থাকি।
আমাকে দেখে শিখে নাও
তা অনুভবে,
কীভাবে লড়াই করে
বেঁচে থাকতে হয় পৃথিবীর বুকে।
আমি পরাজিত নই,
তোমার পদদলনে,
তুমি আমায় পেষনে কি সুখ পাও?
তাকিয়ে দেখো
আমি তোমার উঠোনে আজও দাঁড়িয়ে আছি
সদলবলে স্বগৌরবে।
তোমার সাথেই আমার নিত্য বসবাস !!
আমি কে?
আমি দীর্ঘায়ুর প্রতীক,
আমি নগন্য দূর্বাঘাস!!!!
আমার নেই কেউ।।সুপ্রিয়া বিশ্বাস
কাঠ কয়লার জ্বলনের মত মনের জ্বলনেআমি জ্বলতে থাকি তুষের অনলে,পুড়ে পুড়ে নিঃশেষিত জীবন আমার!! আঁধার নামবে প্রকৃতির চারিপাশআমিও আঁধারে যাবো…