আটপৌরে।। মাহমুদা রিনি

আটপৌরে বউটিও আশা করে-
তার জন্য কেউ আনুক একটা লাল গোলাপ,
নিদেন পক্ষে একটা রজনীগন্ধার ডাটি!
তাকে নিয়ে কেউ লিখুক দু’লাইন কবিতা!

কিন্তু সত্যি বলতে ঘরের বউ নিত্যদিনের
অন্তর্বাসের মতো,
তাতে সুগন্ধি লাগানো চলে না!
বড়জোর সাবান কাচা করা যায়!

কবিতার অন্তর্নিহিত আবেদনে যেমন ভেসে ওঠে
প্রিয়ার মুখ, সেই সারিতে বউয়ের মুখ
বেজায় খটোমটো।
আলু পটল- পেঁয়াজের গন্ধ মাখা।

মেঘ, ফুল, পাখি, নদী নিয়ে ঢের ভাবা যায়–
চাঁদের দিকে তাকিয়ে তো রাতই পার করা যায়!
বউ সেই তালিকায় পড়ে না।
ঘরের বউটিও ভাবে তার দিকে দু’দণ্ড কেউ
তাকিয়ে দেখুক,
খোঁজ করুক তার চোখের গভীরে মস্ত জলাশয়! সেখানে যে জলপদ্ম ফুটে আছে-
তাতে দোলা লাগুক!

একসময় নিস্তরঙ্গ জলে জমাট বাধে বরফ। কমলকলি শুকিয়ে যায়–
তাতে লেখা থাকে বাজারের ফর্দ,
ওষুধের লিষ্ট আর রোজকার হিসাব!
গোলাপ- রজনীগন্ধার ডাটি- শাকের ডাটার মত
শুকিয়ে যায়।
প্রতিদিন একটু একটু করে শুকিয়ে যায়…

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়