বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
এবিষয়ে খালেদা জিয়ার আপিল বাতিল করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
খালেদার প্রার্থিতা বাতিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অপর চার কমিশনার।
তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে ভোট দেন মাত্র একজন নির্বাচন কমিশনার -মাহবুব তালুকদার ।
এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছিলেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে তারা ক্ষুব্ধ এবং এর বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
ফেনী-১, বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
ফেনীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান তার মনোনয়ন বাতিল করার পর দোসরা ডিসেম্বর বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন, “খালেদা জিয়া দু’টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী, পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ক প্রতিবেদন এসেছে আমাদের হাতে। তার ভিত্তিতেই খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।”
“পুলিশ আমাদের কাছে যে তথ্য দিয়েছে তা অনুযায়ী, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দশ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত এবং জিয়া চ্যারিটেবল মামলা হিসেবে পরিচিত মামলায় তিনি ৭ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত।”
“সেকারণে ১৯৭২ সালের গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ এর অনুচ্ছেদ ১৪ এর বিধান মোতাবেক খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে”, বলে জানান মি. ওয়াহিদুজ্জামান।
মনোনয়ন পত্র বাতিলের কারণ হিসেবে রিটার্নিং অফিসার যেসব কারণ দেখিয়েছিলেন তা যুক্তিযুক্ত নয় বলে বলেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবিদের একজন মাহবুবউদ্দিন খোকন। তিনি বিবিসি বাংলাকে জানান খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের যেই ধারার অধীনে বাতিল করা হয়েছে তা নির্বাচনী আচরণবিধি সংক্রান্ত ধারা। আইনের দৃষ্টিতে এই ধারার অধীনে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন পত্র বাতিল হতে পারে না। তাই তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করবেন বলে তিনি জানান।
খালেদা জিয়া এখন দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।-বিবিসি