সম্পর্কের কথকতা।। সুব্রত দে

আসলে এই বৃহৎ পৃথিবীতে সম্পর্ক একটি শেকল। একটির সাথে আরেকটির নিবিড় সম্পর্ক। বর্তমান সময়ে সবাই এক শেকলের মধ্যে থেকেও যেন শেকল ছিন্ন। কারণ সবকিছুর যত্ন বলে একটা কথা আছে। একটি টবে গাছ লাগালে সময়মত জল দেওয়া, সার দেওয়া এবং পরিপাটি করে রাখতে পারলেই ফুল বা ফল পাওয়া যায়। মানব জীবনেও প্রতিটি সম্পর্কের এমনই যত্ন নিতে হয়।


কখনো কখনো সময়কে দোষারোপ করি, ব্যস্ততাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করি এমনকি সামর্থ্যকে দায়ী করি আসলে সম্পর্ক এসকল কিছুর উপর নির্ভর করে না। একথাগুলো হয়ত যারা শারীরিকভাবে একসাথে বা একস্থানে বা বাসায় অবস্থান করেনা তাদের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু ঘরের মধ্যেই বসবাসরত মানুষগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক যত্নে কতটা ক্রিয়াশীল? একই বিছানায় ঘুমায়, একই ডাইনিং এ খায়, একই পরিবারভূক্ত হয়েও নিজেদের মধ্যেকার সুখ-দুঃখের ভাগাভাগিটুকু বাইরে যায় কিভাবে? আসলে সম্পর্কের টানাপোড়েন, সবরকম হয়ত নিজেদের সম্পর্কের মধ্যে তৃপ্তি আসে না, কিন্তু যেটুকু নিজেদের মধ্যেই থাকা বাঞ্ছনীয়, সেটুকু?


কথায় আছে ‘নিজের ভালো পাগলেও বোঝে।’ আসলে কথাটি সম্পূর্ণভাবে ঠিক নয়। তাই যদি হত তাহলে মানুষ নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারতো না।
এই সম্পর্ক যত্নের, তারজন্য দরকার মানবীয় মূল্যবোধ এবং আত্ম-চৈতন্যের সংস্কার। রক্তের সম্পর্ক রক্তীয় হয় কিন্তু আত্মীয় হয় না। এধরনের সংস্কারহীন জীবনে উপার্জন বেশি কিন্ত অর্জন কম, বাহ্যিক সৌন্দর্যের হৈ-হুল্লোড় বেশি কিন্তু ভিতরে চলে অন্তর্দহন।


সাধ -সাধ্যের বাঁধ পেরিয়ে অনুভবের মাপকাঠিতে খুঁজে নিই চৈতন্যের সিঁধকাঠি।

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়