প্রাণের বংলা
আঞ্জুমান আরা খান
শিশির ভেজা ঘাসের উপর
শিউলি ঝরা ভোর,
পাখপাখালির কলতানে
মিষ্টি মুধুর সুর।
বিলে ঝিলে শাপলা শালুক
ফসল ভরা মাঠ,
নাইতে চাইলে পদ্মদিঘির
সান বাঁধানো ঘাট।
তপ্ত দুপুর শীতল করে
রাখাল গেয়ে গান
ক্লান্ত পথিক বটের ছায়ে
জুড়ায় দেহ প্রাণ।
স্নিগ্ধ বিকেল নিবিড় মায়ায়
প্রশান্তির আবেশ
চাঁদের আলোয় রাত্রি যাপন
ঘুম জড়ানো রেশ।
এমন দেশটি কোথায় আছে
বলতে পারো তুমি!
সে যে আমার প্রাণের বাংলা
প্রিয় জন্মভূমি।
সুখ সন্ধান
আঞ্জুমান আরা খান
হন্যে হয়ে খুঁজছে সবাই
কোথায় সুখের আবাস!
নানা রকম নানা মানুষ
দিচ্ছে যে তার আভাস।
সুখের তরে ঘুরছে ভূবন
রবি বাবুর পাশে,
তা’রি ধারায় পালা করে
দিবা-রাত্রি আসে।
রাত টা ফেলে দিন টা নেবে
সেটা কি আর হয়!
সুখ টা শুধু আঁকড়ে ধরে
দুঃখ কেন ভয়?
জোয়ার-ভাটায় লাভ ক্ষতিটার
হিসেব কি কেউ কষে!
নিয়ম করে ইচ্ছে মতন
তবুও তারা আসে।
চৈত্র খরা,কালবোশেখী
পেরিয়ে বর্ষা আসে,
ঝলসে যাওয়া বিবর্ণ মাঠ
ভরে সবুজ ঘাসে।
মাঝির সুখটা দাঁড় টেনেও হয়
সুখ যদিও পালে,
জ্যোৎসনা রাতেেও মেঘলা আকাশ
সুখের কথাই বলে।
সুখটা কারো ঘরের কোনে,
কারো জগৎ ঘুরে,
কেউ সুখী হয় আকাশ ফুঁড়ে,
কেউ বা মাটি খুঁড়ে।
ঘুম জড়ানো প্রিয়ার চোখে
সুখ দেখেছো কেউ?
নদীর সুখটা প্রকাশ করে
কেবল তা’রি ঢেউ।
আঁধার আছে বলেই লাগে
আলো জ্যোতির্ময়,
শুদ্ধ সুখের নির্যাস জেনো
দুঃখ টাকেই জয়!
আড়ি 😒😒
আঞ্জুমান আরা খান
আজকে চাঁদের মন ভালো নেই
মেঘের সাথে আড়ি!
ঘাসের ডগায় শিশির বলে
যাবো চাঁদের বাড়ি।
চাঁদটা শুনে বেজায় খুুশি
ঝলকে উঠে কোনে,
বলছে তোমায় আসন দেবো
চরকা কেটে বুনে!
মনের সুখে গড়িয়ে পড়ে
শিশির কণা গুলো,
চাঁদের বাড়ি যাবার স্বপ্ন
সাধন বুঝি হলো!
হঠাৎ মেঘের মান ভেঙে যায়
বৃষ্টি ধারায় মিশে,
হাওয়ার বুকে স্বপ্ন লুকায়
শিশির মিষ্টি হেসে।
শিশির কণা নুতন ছবি
আঁকে মনের কোনে,
রাত পোহালেই সন্ধি হবে
ভোরের রবি সনে।