শান্তিনিকেতনের পরিপ্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বহিরাগত’ বলার পরেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আর তার জেরেই ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন উপাচার্য।
শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছে। সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, ‘পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়ার সময়ে বাইরের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন, এটি কিন্তু প্রকৃতির কোলে শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য নয়, যেই সংস্কৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে হাতে তৈরি করে গিয়েছিলেন।’ ২৩ আগস্ট বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মমতাকে আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বাইরে থেকে বোলপুরে এসেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে উপাচার্যের এই ‘বহিরাগত’ তকমাটি মানতে পারেননি বিশ্বভারতীর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষজন। তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন বলে তীব্র নিন্দা করা হয়। সমালোচনার মুখে পড়ে তাই তিনি ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন। যদিও তাঁর দাবি, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি জানালেন, ‘যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহিরাগত বলায় শান্তিনিকেতনের সঙ্গে জড়িত মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে থাকি, তবে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। তবে যদি আমার পুরো বক্তব্যটির গভীরে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন, তাহলে দেখা যাবে যে আমি একটি ঐতিহাসিক এবং ভৌগলিক সত্যের কথা বলেছি মাত্র। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বাইরে থেকেই এই জায়গায় এসেছিলেন। তাঁরা জায়গাটি দেখে পছন্দ করেছিলেন। ফলে শান্তিনিকেতন গড়ে ওঠে। তাঁরা যদি পছন্দ না করতেন তবে আজ বিশ্বভারতী বলে কিছুই থাকত না।’