শাহনাজ পারভীন

সামীপ্য সুধা।। শাহনাজ পারভীন

হেমন্তের ম্লান নক্ষত্রের মতো শীঘ্রই ঝরে পড়বে সবাই।

কত মানুষের কত গুঞ্জন
কর্মব্যস্ততার কত আলোড়ন
সন্ধ্যার অন্ধকারের মতো স্তিমিত হয়ে যাবে সব।

ওয়ার্ডসওয়ার্থ, মিল্টন,
ব্রিকলেনের মনিকা আলী, ম্যাক্সিম’র- মা
থাকলেও কি, না থাকলেও বা–
নির্ভেজাল দিনের পৃথিবী —
সোনায় মোড়ানো রাত, সামারার বৈভব–
ঝিরিঝিরি ঝরনার গান
ছলাৎ ছলাৎ তান
বাজে শোনে–খুলে দাও কান!

তবু আকাঙ্ক্ষায় থাকি, আশা বাঁধি রোজ
শুধু জীবিত নয়, যেন জীবন্ত থাকতে পারি
তোমার সামীপ্য সুধা লাভ করতে পারি আজীবন…

শুভ সেপ্টেম্বর।। শাহনাজ পারভীন

শোকের আগষ্ট কে বিদায় জানিয়ে শুভ সেপ্টেম্বর
বৃষ্টিস্নাত সকালবেলার মেঘদূত! হেসে ওঠো সূর্যবৎ।
রাধাচূড়া, রঙ্গন, অলকানন্দা মেঘের মেয়েরা যেন,
ক্ষণেক্ষণে রঙে রঙে রংধনু মেখে নিয়ো সাতরঙ।

উপবৃত্তি।। শাহনাজ পারভীন

কোভিড নাইনটিন-এর কারণে বিশ্বব্যাপী পেণ্ডামিক চলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত সতের মার্চ থেকে দফায় দফায় আজ অবধি বন্ধ। কিন্তু ক্লাস চলছে অনলাইনে, অফিস চলছে করোনাকালীন সাবধানতা অবলম্বন করে।

বনসাই হতে মন চায় না কখনো।।শাহনাজ পারভীন

আমিও ঠিক তোমার মতোই খুব অল্পতেই তুষ্ট হয়ে যাই।

বুনো ঘাসের মতো তিরতির করে বেড়ে উঠি বেলা অবেলায়
পথের ধারের ফুলের মতো রং ছড়িয়ে ফুটে থাকি সৌরভে
কেউ দেখুক বা না দেখুক তাতে আমার কিছুই যায় আসে না
অক্সিজেন দেই আর নাইট্রোজেন শুষে নেই অবিরত।

বাতাসে ফুলের রেণু ভাসিয়ে দেই দখিনা বেলায়
পরাগায়ন হোক, বা না হোক সে দেখার দায়িত্ব আমার নয়

জানো তো, আমি বরং শেকড়ের দিকে মনোযোগী হই
বনসাই হতে মন চায় না কখনোই।