অতঃপর কবিদা এলেন/সোনালী দেবনাথ

বিধ্বস্ত বাগানে, মেঘের উঁচু মিনার থেকে
কবিতার পৃষ্টে মাটিতে নামলো-
সূর্যরথে চড়ে, মেঘের আড়াল উড়িয়ে
ফিরে এলেন আবার আমার “কবিদা”।
সেই আমার ঘুম জাগানিয়া-
আত্মভোলা, মন মাতানো “কবিদা”।
–যেদিন আমার মালতীবনে
প্রথম ফুটেছিল ফুল,
নীরবতা ভেঙে, স্বর্গীয় সুখে
চুমে চুমে ছু্ঁয়েছিলো, ঠোঁট আর চুল।
আজ! অনেক… দিনপর
” কবিদা” আবার এলেন।
মাঝ খানে…. বয়ে গেছে অনেকটা বছর।
শিরীষ কাগজে গড়া, দেয়ালটা নিঃশেষ করে
জ্ঞাতে -অজ্ঞাতে অস্পষ্ট অব্যক্ত সেই
নাবলা কথাগুলো, মনের চৌকন ডেঙিয়ে
দুলে উঠলো বৃষ্টির, আনন্দ উল্লাসে।
দিঘীর দর্পনের মত, তার মুখেও
দেখলাম বিরহের নীলরেখা।
উদাসীন সেই ভাবুক আমার “কবিদাও”
বয়সের ভারে, নুয়ে গেছে অবলীলাক্রমে।
জীবন- যাপনের রঙিলা উজানি নাউখানি ঠেলে
অবশেষে একটু হলেও…..
সবুজ সোনালী বিশ্বাসের
আঁচড় কেটেছে বদহয় তার বুকে।
হলুদ সময়ে, ছন্দপতনের ভেলাটা ভাসিয়ে
প্রত্যাশার চাদরে, মুড়িয়ে নিলো আমায়
অতঃপর! আজ তার বুকের উত্তাপে।
বুকের মধ্যে ঝুলে থাকা
ভ্যাপসা, ভীতিকর উপেক্ষিত আশাগুলো,
শরীরে তীল তীল করে গড়ে ওঠা-
পরিকীর্ণ, পূর্বসূরির মতো…..
ঘরোয়া জৌলুসের তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলোকে
“রুখলো”– আজ অবলীলাক্রমে।
হাত ধরলো আমার স্বপ্নভূকের, কবিদা হয়ে
প্রজম্মের লালিত আগামীর দৃঢ়তায়।
ইচ্ছাপূরণর স্বচ্ছতায় সাক্ষী হয়ে —
গ্যালারীতে বসে সেঞ্চুরি দেখতে নয়;
সুবর্ণ ফটকে — হাত উঠিয়ে
জীবনের কড়া রৌদ্রেও-
সে আজ এক পশলা শীতল;
বৃষ্টির পরশ ছোঁয়ালো দেহের রন্ধে রন্ধে।
এক সময় বসন্ত যে দুয়ারে, হারিয়েছিলো সম্ভ্রম,
কালবৈশাখীর হুংকারে, গর্জনে….
পবিত্রতা সে বাধা, উড়িয়ে নিলো আজ এক পলকে।
দিগন্তবিস্তীর্ণ ভালোবাসার
শুধু মৃত্যু হলোনা। জন্মও হয়!
আমার কবিতা “কবিদার” জন্যে
“শুধু সময় বহমান,
ক্ষনিকের পদভ্রমে চলে
এই বিশ্বমন্ডলে।”