ভালোবাসা

তাছাদ্দুক হোসেন

দিন ফুরালো ক্ষণ ফুরিয়ে নামছে আঁধার কালো
মোছলো রঙের রেখা জ‍্যোতি চক্ষুমণির আলো।
সকাল ধরে হাঁটতে শিখি দৌড়িয়ে পথ পাড়
ঊর্ধ্বে মুঠি কণ্ঠে করি সুরের আবিষ্কার।
ঝলসে উঠি রক্তে জ্বলি হুঙ্কারে দিই ডাক
পেরোই তেজে ফোঁসে উঠা ভয়াল নদীর বাঁক।
শিরায় জ্বলে বিজলি যুবক প্রেমের রোশনাই
অসুন্দরের অন্ধ অহম্ পুড়িয়ে করি ছাই।
দুরন্ত এক কিশোর ছুটে উন্নত দুই হাত
বাঁধার পাহাড় দুমড়ে ভাঙে দৃপ্ত পদাঘাত।
আকাশটাকে নামিয়ে এনে মাটির কাছাকাছি
জল হাওয়াকে জড়িয়ে বাঁচি স্বপ্ন বুকে আছি।
নদীর জলে স্পর্শ রাখে পরম মমতায়
শুদ্ধ সুধার অমৃত রস রসনে উছলায়
সেই থেকে এক দুজন হলো এই কি ভালোবাসা?
চোখের আড়াল হলেই দুয়ে চোখের জলে ভাসা!

চাপার কলি অঙ্গখানি কৃষ্ণকালো কেশ
গোলাপ অধর ঠোঁটে কবি কাব‍্য করে পেশ।
এক ফুয়েতে নিভলো নিঝুম নিশুত রাতের মোম
তাকিয়ে দেখি কেউ কাছে নেই নিসঙ্গ মৌসুম।

পাক ধরেছে খুব গোপনে চুলের ভাঁজে ভুল
পাংসে রুচির রূপকাহিনী আগুন ফাগুন ফুল।
একসাথে ঠাঁই এক সে সাথে উঠছি বসি রোজ
দুঃখে -সুখে এক অপরের নিচ্ছি দুয়ের খোঁজ।
স্বজন সুহৃদ চোখের আড়াল বয়স নিলো কেড়ে
শুধুই আছি আমরা দুয়ে সবাই গেছে ছেড়ে।
রাস্তা হাঁটি একের লাঠি অন‍্যে হয়ে চলি
উঠায় বসায় গল্প কথায় কণ্ঠ কথাকলি।

নির্ভরতার শক্ত মাটি রূপের পরিভাষা
এইতো আমার আজন্ম সুখ অরূপ ভালোবাসা।

সাহিত্য-ডেস্ক/আজ-আগামী/২০২১/০৭/১০/নী/জ

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়

মন্তব্য করুন