সেই মেয়েটা।। সুপ্রিয়া বিশ্বাস

ভর দুপুরে কড়া রোদে ফুল বিক্রি করতো যে
দাঁড়িয়ে থাকতো যে মেয়েটা রাস্তার ধারে রোজ দুপুরে
সে যে আমার বোন ছিল,
অনাহারী প্রতিবেশি চিনতাম একদিন যাকে।

পিচঢালা ঐ রাস্তাটাতে নরম পায়ে হেঁটে হেঁটে
কবে কবে পায়ের পাতা শক্ত হলো
তপ্ত পিচে হাঁটতে হাঁটতে ফোস্কাগুলোও এড়িয়ে চলে তাঁকে।

পথের কাঁটা পথেই রয়,
তাঁর পায়ের নীচে আঁচড় কাটে এমন সাহস কাঁটার নয়।
চিনো তাঁকে?

দেখা হলে বলো তাঁকে
সে যেন বেশ ভালো থাকে।
আমি তাঁকে খুঁজেছিলাম একটা শিশি আলতা
আর
নূপুর দেব বলে।
এই শরতে পা দু’খানায় আলতা পরে
নূপুর পায়ে ঝনঝনিয়ে আসবে আবার পল্লীগাঁয়ে।

শাপলা অথবা শিউলি ফুলে মালা গাঁথা
বিলে ঝিলে পদ্ম তোলা সেই মেয়েটা
সবকিছু সে ভুলেই গেছে শুধুই এখন পেটের দায়ে।
শিশির ভেজা নরম মাটি কতদিন সে মাখেনি পায়ে।

অনেক ,অনেক ,অনেক দিন পরে
আজ শেষ বিকেলে এসেছে সে সাদা কফিন গায়ে।
খুব যতনে ঘুমিয়েছে পল্লীমায়ের কোলে।
দেখতে তারে যাব আমি খুব সকালে
শিউলি হাতে কুয়াশা মাখা চুপি চুপি পায়ে।

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়