প্রথম যেদিন বসন্ত আমায় ছুঁয়েছিল,
পিঞ্জরে অনুভব করেছিলাম অদ্ভুত এক হৃদ-কম্পন,
কর্ণকুহরে বেজেছিল শিঞ্জন।
অসময়ে রংধনুর আভা টেনে-হিঁচড়ে
বের করেছিল উন্মুক্ত আকাশ তলে।
সেই থেকে শুরু বসন্ত বাতাসে….
নীলার বুকে ঘুড়ি উড়ানো।
একে একে এসেছি ফেলে ছত্রিশ’টি বসন্ত,
বিন্যাস্ত নীলার বুকে, অবচেতনে ছেড়ে দিয়েছি লাটাইয়ের সবটুকু সুতো।
তবুও স্পর্শ করতে পারিনি নীলার চিবুক।
কুহুতানে হারিয়েছি নিজেকে উদাস বিকেলের মাধবীকুঞ্জে…
দেখেছি পলাশ-শিমুলের রূপ-লাবণ্যে মেতে থাকতে ধরণীতে।
অথচ আমার ফাগুনগুলো ক্রমাগতই হয়েছে বড্ড ফিকে।
বাসন্তি অবগাহনে নিজেকে হারিয়েছি উদাস ভাবনার গহীন অরন্যে।
তবুও বসন্ত আসেনি ফিরে আমার দ্বারে,
প্রতিশ্রুতি’রা দেয়নি ধরা পলাশ রাঙা ভোরে।
আমার বসন্ত এখন আর নেই জীবন্ত,
কোকিলের ডাক, ফুলের সুগন্ধ….
কিছুই লাগে না আগের মত প্রাণবন্ত।
ভ্রমরের গুঞ্জরণ উচাটন মন’কে অকারণ করে দিকভ্রান্ত।