প্রতিটি নববর্ষের সূর্যরক্তিম প্রভাতবেলায় রমনার বটতলায় তোমাকে দেখি
ছায়ানটের অনুষ্ঠানে মৃদঙ্গের তালে তালে
নেচে বেড়াতে;
পাতায় পাতায় কাঁপন জাগাতে
অন্তর মথিত মন্দ্রিত গানে, সুরে, বেহাগে;
তুমিই আমাদের সেই রবীন্দ্রনাথ!
তুমিই আমাদের কবিগুরু রবিঠাকুর
আজও প্রতিটি বর্ষবরণে বৈশাখের রুদ্র তাণ্ডবে
ঝড়োবাতাসে আঁচল উড়াও মুগ্ধ তরুণীর;
উর্ধ্বমুখী তরুণ একলা চলে তোমার হাত ধরে;
আজও শত-সহস্র কবি মাভৈ বলে
কলম তুলে নিয়ে ধর্মসন্ত্রাসীর নামে শেষ
ইস্তেহারে লিখে রাখে উড়নচণ্ডি বর্ণমালা!
তোমাকে প্রণাম কবিগুরু এই বর্ষবরণে,
ধ্যানমগ্ন আসনে তাকাও একবার,
মঙ্গল শোভাযাত্রায় দেখতে কি পাও
কোটি বাঙালির উচ্ছ্বাস? শুনতে কি পাও
মঙ্গল গানে মুখরিত এই বাংলার হিন্দু মুসলিমের মিলিত কোরাস?
ওই দেখো সাম্যে-শান্তিতে ঋজু বিদ্রোহী নজরুল ঝাঁকড়া চুলে বসে আছে মসজিদের পাশে সমাধি সোপানে;
বিষের বাঁশির শাণিত উচ্চারণ কণ্ঠে তার!
আমরা জাগ্রত আজও, আমাদের সঙ্গে
তুমি আছ, আছে নজরুল, জয়নুল;
ধর্মসন্ত্রাস নির্মূল করার দৃপ্তশপথে উদ্দীপ্ত
শোভাযাত্রায়!