মাহমুদা রিনি

পদ্মা বহুমুখী সেতু।। মাহমুদা রিনি

ষড়যন্ত্রের মুখে ছাই, বদনাম ঘুচে যায়
গালফুলো গলাবাজি, আর যত কারসাজি
কাটা কান,মুখে চুন পালিয়ে পথ পায়!
মাথা তুলে মহীয়ান গাই বিজয়ের গান
পদ্মাসেতু আমাদের পৃথিবীর সম্মান।

বাঁকা চাঁদ এলো ঈদের খুশি নিয়ে।। মাহমুদা রিনি

ঈদের আনন্দ শুরু হয় চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে, একমাস রোযা পালনের পর নতুন চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে ঈদের সূচনা হয় এবং জনজীবন মেতে ওঠে খুশির জোয়ারে। সামর্থ্য অনুযায়ী ঘরে ঘরে তৈরি হয় নতুন সব সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। যারা জীবিকার প্রয়োজনে বাইরে থাকে তাদের ঘরে ফেরার আনন্দ অপরিসীম।

আসে বৈশাখ।। মাহমুদা রিনি

মেঘ, তুই আমার কথা শোন–
তোকে আমি গড়িয়ে দেব
সাতলহরি রুপোর বিছে মল
ছম ছম শব্দে বৃষ্টি ঝরাবি!
আরও যদি চাস, নোলক পাবি,
জলের রঙে কাব্য আঁকা নীলাম্বরী শাড়ী পাবি–
তোকে লাগবে যেন মেঘরাজ্যের আকাশপরী,
নাহয় দেব কানেও ঝুমকো দুল!

ভালোবাসা তুমি।। মাহমুদা রিনি

তুমি এমন আগুন জ্বালো—-
পোড়ে দেশ,মানচিত্র,
সীমান্ত কাঁটাতার।
পোড়ে শরীর, শরীরে বসবাস
আত্মার ঘরবসতি, স্বপ্নমহল,
পোড়ে অবরুদ্ধ কারাগার।

পথের কথা।। মাহমুদা রিনি

আজ বাড়ি থেকে আসছি, যশোর আসবো। গাড়িতে চল্লিশ মিনিটের পথ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে মনে হলো, লোকাল যে পরিবহন (তিন চাকার স্যালো ইন্জিন বিশিষ্ট) ঐটাতে চড়বো। বিকাল পাঁচটা বাজে, আকাশে মেঘ, বাড়ির কেয়ার টেকার ছেলেটা বার বার নিষেধ করলো, তবুও উঠে পড়লাম।

বাঁশিওয়ালা || মাহমুদা রিনি

আকাশ আমায় ডাকে অবেলায়-তুমি আমার বুকে ভাসতে থাকা মেঘগালিচার নকশা হবে? ঝরা বকুল বৃষ্টি হবে? রিনিঝিনি ছন্দ তোলা–রেশমি কাচের চুড়ি পরাহাত দুখানির আলতো ছোঁয়ায়গোধূলি আকাশ রাঙিয়ে দেবে!শ্যামল কাজল তন্বী মেয়ে–তুমি আমার পূর্ণচাঁদে আকাশ ভরা জোছনা হবে? কী যেন সব কাব্যকথা– ওসব কী আর জানি আমি! আমার কাছে কাজের বেলাকথার থেকে অনেক দামী!

বহতা নদীর মতো।। মাহমুদা রিনি

আমার একটা নদী আছে—
আমি ভুলে যাই বার বার নদী কারো
একার হয় না!
সে বয়ে যায় তার মতো…
আমি তাকে উৎসর্গ করি
আমার প্রেম, ঝরা পাতার গল্প,
ভালোবাসার নৈবেদ্য— প্রসাদ।