কফিশপে ঝগড়া করে হরিণ এবং ফড়িং/লুৎফর রহমান রিটন

হরিণ ছানার সঙ্গে হলো ফড়িং ছানার ভাব
বললো ফড়িং— আছেন কেমন ডিয়ার হরিণ সাব?
প্রশ্ন শুনে হরিণ হাসে—আরে ডিয়ার ফড়িং!
আইসো ভায়া তোমার সাথে আলাপ সালাপ করিং।
ফড়িং ছানা হরিণ ছানা দু’জন অতঃপর
কফিশপে আড্ডা মারে সারাটাদিনভর।
ব্ল্যাক কফিতে চুমুক দিয়ে হরিণ ছানা কয়
এই পৃথিবীর যেদিক তাকাই কেবল হরিণময়।
চিড়িয়াখানা, সুন্দরবন কিংবা নদীর তীর
এমনকি এই শহরজুড়েও হরিণদেরই ভিড়!
নকশিকাঁথা পেইন্টিংস আর গল্প-ছড়ার বই
পাতায় পাতায় হরিণগুলোর দুষ্টুমি হইচই।
আলোকচিত্র প্রদর্শনী হরিণ ছাড়া হয়?
যেদিকপানে তাকাই দেখি জগৎ হরিণময়।
ফড়িং বলে—স্যার আপনার দুচোখ জুড়ে ছানি
বিশ্বজুড়ে হরিণ কোথায়? ফড়িং আছে জানি।
যে কোনো গ্রাম-মাঠ-জঙ্গল কিংবা শহরজুড়ে
লেজ নাড়িয়ে পাখনা মেলে ফড়িং বেড়ায় ঘুরে!
ফড়িং দেখেন পাতায় পাতায় কিংবা ডালে ডালে
ফড়িং নাচে স্নিগ্ধ হাওয়ার ছন্দে তালে তালে।
ফড়িং থাকে ফুলের পাশে ফড়িং থাকে ঘাসে
এই পৃথিবীর সকল মানুষ ফড়িং ভালোবাসে।
ফড়িং থাকে বনের মধ্যে মনের মধ্যে থাকে
ফড়িংগুলো বিশ্বভুবন রোজ মাতিয়ে রাখে।
ফড়িং আছে বলেই কিন্তু প্রজাপতি নাচে
ফড়িং এবং প্রজাপতির অনেক গল্প আছে।
বলতে পারেন হেলিকপ্টার কেমন করে এলো?
মানুষেরা ফড়িং দেখেই আইডিয়াটা পেলো!
ফড়িং ছাড়া এই পৃথিবী ক্যাম্নে রঙিন হয়?
এই পৃথিবীর যেদিক তাকাই কেবল ফড়িংময়।
ফড়িংগুলোর ডানার কাঁপন শুনতে যারা পায়
তারাই জানে নাচের মুদ্রা কী করে বদলায়।
ফড়িং আছে বলেই এতো নৃত্য ও সঙ্গীত
ফড়িং চেনে মেঘ কুয়াশা গ্রীষ্ম বর্ষা শীত।
কফিশপে ঝগড়া করে হরিণ এবং ফড়িং
আমরা কী আর করিং?
আমরা ছড়া পড়িং!
রচনাকাল/ গোলারটেক ঢাকা ২৩ জানুয়ারি ২০১৪
ছবি/ সুজন চৌধুরী
[বইসূত্র/লিলিপুটের ছোটভাইঃ লুৎফর রহমান রিটন। ছবিঃ সুজন চৌধুরী। প্রকাশক চন্দ্রাবতী একাডেমি। প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০১৫।]

মন্তব্য করুন