বিসর্জন/ইসরাত জাহান

তবুও দিন কাটে!
শিশিরভেজা দুর্বাঘাসে কুয়াশা কাটিয়ে।
কখনও পূর্বদিকে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থেকে…
চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে,
নিমিষেই আলোক প্রভাতের নিচে রাত নামে !
ধরণী তার নিয়মেরই নিয়মে বাঁধা….
ধরণীর নিয়মেই সেদিন বিসজর্ন হয়েছিল;

তুমি বলেছিলে- আমি ভালোবাসার বিসর্জন দিয়েছি!
হ্যাঁ, লাল বেনারসি, কিছু অলংকারের বিনিময়ে সেদিন
তোমার বিসর্জন দিয়েছিলাম,
তেরো হাত শাড়িতে পাঁচ ফিট চার ইঞ্চি এক মানবী তার দুঃখ জড়িয়ে রেখেছিলো;
তারপর ঢাকঢোল বাজিয়ে আমি আমার বিসর্জন নিয়েছিলাম,
সবার সাম্মুখে….
আমি আমার বিসর্জন নিয়েছিলাম!
শাড়ির ভাঁজে-ভাঁজেই সেদিন লুকিয়ে রেখেছিলাম আমাদের প্রণয়।

আমাকে অন্ধকার তেপান্তরের দিকে ভাসিয়ে নিয়েছিল ,
সময়ের কালস্রোত !
বিসর্জন বুঝি এমনই হয়?

আজ দুজনেই বিসর্জিত…
সময়ের অন্তহীন অনিঃশেষ!