বৃন্দাবনে কি আর চোখ খুঁজে পেলে না কৃষ্ণ?
এদু’টি চোখ ভরেই দিতে হল আঁখি জল !
আর কি কোথাও কারো মন খুঁজে পেলে না !
তাই রাধার মনকে দেহ ছাড়া করে কলঙ্কিনী তিলক দিলে এঁকে !
শত গোপী মাঝে হলে রাধিকা রমণ
তাই কি বিরহানলে পোড়ে রাধিকার মন!
দুই দেহ এক প্রাণ , তুমিই তো বলো নারায়ণ ;
তবে কেন এক প্রাণ কাঁদে পায় না সাড়া অন্য মন!
তুলসী বক্ষে ধরি রচিলে বৃন্দাবন
রাধা সতী যাইবে কোথা বলো হে মধুসূদন!
আনন্দ স্বরুপিনী বলো তাঁরে,
কেমনে ছাড়িয়া গেলে সেই প্রাণ প্রিয়ারে !
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শেষে দাঁড়ালে যমুনার কূলে ।দুই তীরে দুই জনে-
চির বিচ্ছেদ আঁকা হলো যমুনার জলে।
যমুনার বুকে কেন এঁকে দিলে অভিশাপ ?
রাধার আঁখিলোর কালো যমুনায় উতলায় ঢেউ তুলে-
আদি অনন্ত বিরহের অভিশাপ বুকে নিয়ে-
যমুনা বয়ে যায় আজো প্রেমের সাক্ষী হয়ে।।