তুমি চাইলেই তো আর নীল শাড়ি লাল হবে না;
কাকডাকা ভোরে শিশিরে রঙিন হবে না দুই পা।
মধ্যরাতে ঝুল বারান্দায় উঁকি দেবে না
ফাল্গুনি চাঁদ; তবুও চাইতেই পারো,
চাওয়া আর না পাওয়ার আক্ষেপই যে
আমাদের জীবন।
তখনো তোমার আঁচল ঢাকেনি বুকের পলিশ
তখনো ঠোঁটে লাগেনি কৃত্রিম অনুরাগ
তখনো চোখ কাঁপেনি গলিত লজ্জায়
স্থির জলে অস্থির ঢেউ অদেখা তখনো …
আমি তখন তোমাকেই চেয়েছিলাম
ভালোবাসার জলে গলাতে চেয়েছিলাম
বোধের পাষাণ।
তুমি সাড়া দাওনি বলে
সকালের শিশির শুকিয়েছিল অবহেলার দহনে,
মধ্য-দুপুরে পানকৌড়ির ডুবসাঁতার থেমে
গিয়েছিল অভিমানে!
আর এক অভিমানী বালক
ঘুড়ির সবটুকু সুতো ছেড়ে দিয়ে
হাতপা ছড়িয়ে আকাশপানে তাকিয়ে
তোমাকে খুঁজতে-খুঁজতে
খুঁজতে-খুঁজতে হারিয়ে গিয়েছিল
অন্য আর এক জগতে!
তারপর কবির চোখ নিমিলিত হলো
চুলগুলোতে পদ্মার ঢেউ আছড়ে পড়ল
বিশুষ্ক ঠোঁট কেঁপে কেঁপে উঠল
অর্ফিয়াসের বাঁশি বেজে উঠল আপন ধ্যানে।
তখন বালক-কবি চিৎকার করে দিগন্ত
চৌচির করে তোমাকেই চেয়েছিল
তুমি সাড়া দাওনি!
আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার যোগফল
মেলে না কোনোকালে,
তবু চাইতেই পারো আবারো তোমার মেঘ-বিষণ্ন
শাড়িতে লাগুক বাসন্তী আগুন।
আমিও না হয় দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে তখন
চাইব তোমাকে আরো একবার!