আজ জানালার পাশে দাঁড়িয়ে
কেটে গেছে আমার আস্ত একটা বর্ষালী বিকেল।
অনেক বড় একটা মন খারাপের দুপুরের পর
শ্রাবণ মেঘের মত কালো ক্যানভাসে
ঢেকে ছিল আমার সোনাঝরা সেই
পড়ন্ত বিকেলটুকু।
তারপর, অতি সংগোপনে রাতের গহীনে
হারিয়ে গেছে আমার অতি যত্নের
আদুরে স্বপ্নগুলো।
কেউ আলো জ্বালাবার ছিলো না বলে –
অন্ধকারে খুঁজে পাইনি পানির বোতল,
চায়ের কাপ, মশারির সরু ফিতা আর
কবিতার বই।
আমার নিজের কেউ নেই বলে –
নিথর কান্নাগুলো নিরেট জমাট বেঁধে আছে
দু-চোখের বিস্তীর্ণ জমিন জুড়ে।
অথচ কি অবাক ব্যাপার —
আসবার তো কথা ছিল অনেকের।
অনেকের মুখ ছিল শিশির ভেজা শিউলির মত শুভ্র।
যে আমাকে একদিন ছোট্ট শিশুর মত
করেছিল শাসন –
কোনদিন আমার কান্না ঝরতে দেবে না বলে
মেঘের সাথে করেছিল সন্ধি,
আমার ঘরে নিত্য আলো জ্বালিয়ে
দেবার প্রতিশ্রুতিতে –
আমি যার আঙুল ধরে হাঁটতে চেয়েছিলাম
ধূলোর পৃথিবীতে,
মা ও মেয়ের রূপ নিয়ে যে আমাকে জাগিয়ে
দিয়েছিল কোন এক কাক ডাকা ভোরে,
তাকে কোথাও আজ খুঁজে পাইনি
আমার কান্না ভেঁজা এই বিষন্ন দিনের গল্পে।
নাকি সে জেনে গেছে —
কাঁদবার দিন এলে বাবাদের কেঁদে নিতে হয়?