আজ থেকে শতবর্ষ আগে
কে তুমি লেখিছ বসি কবিতাখানি আজকের অভিবাদনে—
আজ থেকে শতবর্ষ আগে
আজকের পাখিদের কলতান—ফুলকলিদের উচ্ছ্বাস—
মৌমাছিদের মধুর ধ্বনি—ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক—ভ্রমরের গুঞ্জন
আজকের চৌদ্দশো সালের সকল রক্তরাগ অনুরাগে সিক্ত করি
পাঠিয়ে দিলাম তোমার করকমলে—
আজ থেকে শতবর্ষ আগে
সেদিন কবি তুমি জেগেছিলে নিশীথে গভীর অনুরাগে
পলেপলে স্মরণ করেছিলে আজিকার বিহঙ্গে
তোমার সেই অনুমান—অনুধাবন রপ্ত করে
আজকের তপ্তদিনের গুপ্তবেদনা ভুলে
সপ্তসিন্ধুর জলে মিশে দিলাম প্রণতিপ্রণয়ে
সকল অনুক্ত অনুরক্তি ব্যক্ত করে দিলাম লিখে
পুরবহাওয়ার অদৃশ্যহাতে—পুবালি হতে পশ্চিমে নিতে—
আজ থেকে শতবর্ষ আগে
খুলি পূর্বদুয়ার বসি পশ্চিমের জানালায়
সুদূর দিগন্তে চেয়ে থাকি—কল্পনায় অবগাহি
ভাবি মনে মনে—কে এমন করে স্মরণ করল আমারে—
আজ থেকে শতবর্ষ আগে
আজিকার শ্রাবণের বারিধারা—মেঘমালা
আজিকার সকল গান—সকল উৎসব—সকল প্রাণ
অর্ঘ্য-মহার্ঘরূপে পাঠিয়েছি তোমার প্রণামে—
আজ থেকে শতবর্ষ আগে।
২২ শ্রাবণ, ১৪২৮—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম।