প্রাণহীন শরীর/শিখা গুহরায়

যখন লেখাটা লিখছি
তখন ক্লান্ত পাখিরা নীড়ে ফিরছে
একমুঠো স্বপ্ন এঁকে।
আজও আমি সেখানেই পড়ে থাকি
স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে
কোনো এক বসন্ত রাঙিয়ে।
তুমিও ঘুমিয়ে আছ চাঁদের আলোয়
সম্পর্কের রঙটা মুছে দিয়ে।
কামিনী গাছটা আজও আছে
আগের মতোই গভীর রাতে
সে বাতাসে গন্ধ ছড়ায় নিজগুণে।
গোঁধূলির শেষ বিকেলে সূর্য ডুবে গেলে
গল্প-উপন্যাসে আর কবিতার
খাতা খুলে বসি শ্যামল সবুজের মাঠে।
বহুবার ভেবেছি আর লিখবো না
সেই না-বলা কথা,
ভেসে ওঠে দরজা ভেঙে
ছাইরঙা স্মৃতি বুকের খুব গভীরে।
খাতার ভাজে-ভাজে জমে থাকা
শ্যাওলার স্তূপ সরাতেই
নিরব শব্দগুলির হেঁটে যায় দূরে।
শুধু দেখি আর জল ঝরে
নিথর পাথর গড়িয়ে
তবুও ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে বারবার
প্রাণহীন শরীরের গন্ধ নিতে।

মন্তব্য করুন