বাঁশিওয়ালা /রুমকি আনোয়ার

কে তুমি বাঁশিওয়ালা ?
এ কেমন সুর তুমি তুলো
নির্ঘুম রাতের নষ্ট প্রহর গুলো
কি অবলীলায় ছিনিয়ে নাও তুমি ,
আমি বার বার ডাকি , বার বার ডাকি
তোমার কর্ণ কুহরে আমার বার্তা বুঝি পৌছায় না ।
তোমার মরণবানে শরবিদ্ধ পাখি
কেবল ডানা ঝাপটে যাই
আমি বার বার মরি ,বার বার মরি
কি নির্লিপ্ত উদাসীন তুমি ।
শোন না বাশিওয়ালা শোন
আমি সীতা নই দ্রৌপদী
না না অপাপবিদ্ধ বালিকা
বাড়িয়ে দিয়েছি হাত একবার ছুঁয়ে দেখ শুধু একবার ।
এতই ই অহঙ্কার তোমার সর্বাঙ্গে বিষ ঢেলে শিবের নাচন দেখাও তুমি ।
বাঁশিওয়ালা , বাঁশিওয়ালা
জলের বুকে ঘোলাটে ছবি তোমার
ঢেউ এসে মুহূর্তে ছিনিয়ে নেয় ,
আমি কেঁদে উঠি ,কেঁদে উঠি বার বার ।
এসো না কোন এক রোদেলা দুপুরে কিংবা
হিম ধরা কুয়াশায় মেতে উঠি একান্ত সংগোপনে ।
বাঁশিওয়ালা ,
আমার বসন্ত বেলায় হৃদ আঙ্গিনায়
একবার কি তোমার পদছাপ পড়বে না
ও তোমার আরাধ্য আমার মৃত্যু বুঝি ।
বেশ সঁপে দিলাম নিজেকে সাপের ছোবলে
হিমশীতল দেহ সাদা কাফনে ঝরানো
তুমি সুর তুলো বাঁশিওয়ালা ,
দেখবে ডান হাতের তর্জনীটি ঠিক ই সাড়া দিবে ।
মৃত্যুও রেহাই দিবে না আমাকে
তোমার চরণে আমি শতাব্দীর পদধূলি হয়ে রইবো ।

মন্তব্য করুন