আগস্ট/দ্বিত্ব শুভ্রা


জলদস্যুদের পতাকা তুলে
রওনা দেয় কালো সমুদ্রের দিকে
তবু গতকাল বিকেলে তুমি বলেছিলে
আমরা চুরি করে চলে যাব ।
কিছুদিন এইসব চেপে ধরা মানুষ থেকে দূরে,
গভীর অরণ্যে ।


বুনো গাছের লতা, মাটি আর বাতাসের গন্ধের সাথে
আমাদের গায়ের ঘ্রাণ..

একটা মুহূর্ত কল্পনা !
শিউরে উঠল!
গোপন করে গেলাম তা পরস্পরের কাছে
শুধু আমাদের উজ্জ্বল মণিরা
কথা বিনিময় করে গেলো,
এ অবাস্তব নয়,
তবে এও অদ্ভুত ।


আজ ভোরে
দেরী করে চোখ খুললাম ।
আমার প্রতিটা দিন যেন
অন্য কোন দিনের অংশ ।
হয়তো মায়া সভ্যতার, হয়তোবা ত্রয়োবিংশ শতাব্দীর,
বিলং করিনা কোথাও,
কোথাও আমি নেই,
অথচ আছি
পচন ধরা ঝুলন্ত সেতুর মাঝে,
সবসময়ই অনিশ্চয়তা,
সবসময়ই নিশ্চুপ তুষার ঝড়,
তারা আনন্দ চিহ্ন মিলিয়ে দেয়
দ্রুত ।
আগস্ট আছে আগস্টের মতন,
পাকা রাস্তা নির্মাণ,
হাত পাতা ভিখেরী,
কোলাহল, ভিড়,
করুণাশ্রয়ী কথার প্রতিধ্বনি,
শর্তসাপেক্ষ থাম,
হাঁটছি এ সবের মধ্যে দিয়ে ।
কোথাও আমার ছায়া দেখছি না, অযথাই যেন সমস্ত কিছু,
বছর বছর দীর্ঘ করে গেছি শুধু
অযথার পর্বত ।
তাকাই না আকাশের দিকে
ওখানটাও তো জ্বলছে সারাক্ষণ ।
আমি প্রাচুর্যহীন বোবা,
বোতল ভর্তি হচ্ছে বেগুনি রঙে,


আমার অপরাধের কোন বিবৃতি নেই ।
সময় আমার দিকে তাকায় আর
পরোয়া করে না মোটেই
আমার জন্য তার
দীর্ঘ তালিকা নিয়ে ।