রিনির ডায়েরি: বিবর্ণ সন্ধ্যা

মাহমুদা রিনি

বিবর্ণ সন্ধ্যায় ছেড়ে যায় স্বপ্নরা,
আবছা হতে থাকে প্রিয়জনের মুখ।
থামে পাখির কোলাহল।
দূরে সোনালী কিরণছটার আভাস মিলিয়ে–
যেতে চায়– ক্রমশ দূরে।
অন্ধকার চক্রবুহ্য ভেদ করতে পারে না দুর্বল প্রাণশক্তি। দীর্ঘ বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে দিতে
যা কিছু কুড়িয়ে পাওয়া, তাই সম্বল করি,
চলি দুর্গম পথ মাড়িয়ে– খাঁড়া অচলায়তন।
ক্লান্ত হয়ে বসি অপরিচিত বৃক্ষের ছায়ায়।
ধুলি ধূসরিত ঝুলি হাতড়াই,
এতদিন পথে যা কিছু সঞ্চয়;
বের করি যত্নে তা নির্দ্বিধায়!
কিন্তু এ কী দেখি হায়!
ঝুলিতে পড়ে আছে মিছে ছাইপাঁশ,
এই দুর্গম পথে তার কিছু নেই দাম, নেই বিনিময়!
দিশেহারা হয়ে মরি মাথা কুটে,
তৃষ্ণার্ত পথিক কোথা জল জোটে!
এতদিন ধরে দুঃসহ ভারে
মিছে ধন ভেবে বয়ে বেড়াই যারে,
ফেলে দিয়ে তারে মুক্ত হই ভার– সেই অভিলাষে
ছুড়ে ফেলি দূরে।
কী জানি আলগোছে ঝুলি হতে খসে- রয়ে গেল
জীর্ণ মলাটের কবিতার খাতা ,
তুলে অবহেলায়, মেলে দুইহাতে,
দেখি বিস্ময়ে– কবিতায় গাঁথা,
থরে থরে সাজানো জমানো ব্যথা–
আমারই হৃদয়ের অব্যক্ত কথা!
এ যেন আমার রাজসম্পদ,
বিপুল বৈভবে অতুলনীয় সব,
কবিতার বুননে আঁকা হৃদয়ের অনুবাদ।
এ শুধু আমার আপনার ধন, সবটুকু সঞ্চয়,
এই হোক তবে আজ আমার পরিচয়!

@কপিরাইট_সংরক্ষিত

কবি নীলকন্ঠ জয়

সকল পোস্ট : নীলকন্ঠ জয়

মন্তব্য করুন