আসলে ওটা কোনো দিন ছিল না
দিনগুলো অন্যরকম,
কলকাকলীতে মুখরিত হলুদ চড়ুই, খয়েরি শালিক, প্রজাপতি ডানা, ভেজা ভেজা শিরিসের ডাল,
সবুজ ঘাসের মতোন নরম কোমল যাপন মেখে দিন শুরু হয়।
টুপটাপ শিশিরের গান, পাতা ঝরা শব্দের তান,
কাঠবেড়ালির স্বাধীন লাফানো,
কাকডাকা কণ্ঠস্বর মেখে নিয়ে সকাল শুরু হয় প্রস্তুতিতে প্রতিদিন।
সেফোটিল সাতশ পঞ্চাশ শিরায় পুশ করা সকালকে
আমি কখনো দিন বলি না।
ভিচেট মেপে মেপে পার করা যাপনকে আমি দিন বলি না।
হাসপাতালের নিজস্ব পোশাকে সজ্জিত,
তাদের নির্দেশে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তকে আমি দিন বলি না।
দিনগুলো অন্যরকম।
আড়মোড়া ভেঙে ভেঙে, চুম্বনে চুম্বনে পরম আন্তরিকতায়, কর্মে, কারিশমায় দিন শুরু হয়
প্রাত্যহিক প্রাঞ্জলে লাল চায়ে ধোঁয়া ওঠা,
বেলা টোষ্ট কচমচ এইসব এলেবেলে সুর শুনে দিন শুরু হয়।
আসলে ওটা কোনো দিন ছিল না
দিনগুলো লাফিয়ে লাফিয়ে চলে ক্যাঙারুর পেটের কোটরে,
কাঠ ঠোকরার সুচালু ঠোঁটের ফাঁকে এবং মা পাখিটার পেটের ওমে চিরকাল।
হাসপাতালের ওয়েটিং রুমে, স্ক্যানিং মেশিনের নীচে,
ঢুষ দেবার বিরক্তিকর বাধ্যবাধকতাকে,
মেপে মেপে দুই লিটার পানি পান করার ভমেটিং টাইমকে,
রক্ত শুষে নেবার মুহূর্তকে আমি কখনোই দিন বলিনা।
এগুলো ছিল আমার একান্ত মুহূর্ত,
পরিপূর্ণ দিনের একটি সামান্য দুঃসহ স্মৃতি মাত্র।