হাজারো দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে পৃথিবী,
দিনের আলো ঠেলে ঠেলে মৃত্যুদূত হয়ে রাত নামে
বসুধার আকাশে।
নিদারুণ যন্ত্রণা বুকে নিয়ে বিশুষ্ক ধরিত্রী
হেঁটে চলেছে অনাদিকালের যাত্রায়।
অনন্তকাল ধরে আরোগ্য লাভের আশায়–
বিরামহীন মুহূর্তগুলো স্থির হয়ে আছে।
সময়ের কাছে আকুল সুপারিশ
সময়ের স্রোতে ভেসে যাবার তোরণদ্বারে
কোনো এক নিদ্রাহীন প্রহরী চেতনার প্রদীপ হাতে
এক ঝাঁক জাগ্রত সৈন্যবাহিনী নিয়ে
পথ রোধ করে দাঁড়াক।
চলমান চেতনার অনুকূলে কেউ দাঁড় টানুক,
সকল প্রতিকূলতা ছাপিয়ে
কিছুটা রৌদ্রের ঝিলিক এসে পড়ুক–
অনিশ্চিত অন্ধকারময় এ ধুলোর ধরিত্রীর বুকে।
আলোকের রথে পৃথিবী যাত্রা করুক
দূরের আলোর হাতছানি সম্মুখে।
দেখো ওই পথে অনন্ত সম্ভাবনা।
চলো, যাত্রা করি আলোকদীপ্ত পথে;
রহস্যময় ঘোর অন্ধকার কুহেলিকা ছেঁচে মেঘ কেটে যাবে।
আতপ্ত মেদিনীর বুকে
হিমেল শীতল কুয়াশার চাদর আবৃত করে
বসুধা আবার শান্ত হবে।
পৃথিবীর শরীর থেকে
দূরারোগ্য ব্যাধি মুছে যাবে।
আঁধারের ছাউনি উড়ে একসময় ঊষার আলো আসবে,
জোছনার আলোয় ভেসে যাবে রাতের বুক।
একটি নূতন পৃথিবীর অভিষেক হবে
ঝাঁক বেঁধে স্বপ্ন নেমে আসবে রাতের চোখে।