বস্তুত আমাদের শরীর রক্তাক্ত হচ্ছে
না কি রক্তাক্ত হচ্ছে আমাদের হৃদয়; আমাদের অস্তিত্ব!
না কি আমাদের আগামী সংকটাপন্ন?
আমাদের দিনরাত্রি, আমাদের সকাল দুপুর
না কি সময়ের চাকা?
আমরা কি জীবনের কাছে হেরে যাচ্ছি,
সময়ের কাছে, সংগ্রামের কাছে, সিদ্ধান্তের কাছে,
মনুষ্যত্বের কাছে, মানবতার কাছে,
নৈতিকতার কাছে, না কি সততার কাছে?
আমরা কি ক্ষমতা, লোভ-লালসা ধর্ম-বর্ণ, জাতি দল, গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে
টুকরো টুকরো করছি পৃথিবীটাকে!
আমরা কি পৃথিবীটাকে আরও খন্ড খন্ড করতে চলেছি;
আমরা কি আকাশ, বাতাস, চাঁদের আলো, সূর্যের কিরণকেও রেহাই দেবো না?
আমরা কি সুদিনকে পেছনে ফেলছি,
আমরা কি দুর্দিনের পেছনে দৌড়াচ্ছি
আমরা কি অমঙ্গলের পেছনে দৌড়াচ্ছি,
আমরা কি ধ্বংসের খেলায় মেতেছি
আমরা কি আত্মঘাতী হতে চলেছি,
আমরা মানুষ না কি পন্য বনে যাচ্ছি!
আমরা কি আবার ফিরে দাঁড়াতে পারব!
আমরা কি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব
আমরা কি আবার উঠে দাঁড়াতে পারব!
আমরা কি আবার আশার আলো জ্বালাতে পারব
আমরা কি সম্ভাবনার দিকে ছুটতে পারব!
আমরা আবার মঙ্গল প্রদীপ জ্বালাব
আমরা আলোর মশাল হাতে এগিয়ে যাব,
আমরা শুভ সম্ভাবনার রবির কিরণে উদ্ভাসিত হব।
আগামী ভোর হতে আমরা আর পৃথিবীটাকে খন্ডিত হতে দেবো না।
বস্তুত আমাদের শরীর থেকে রক্ত নয়, গ্লানি নয়,
বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গ ছুটবে,
আমাদের হৃদয় থেকে ভালোবাসার বৃষ্টি ঝরবে,
আমাদের মন থেকে লোভ-লালসা, ক্ষমতার লিপ্সা,
জাতি, ধর্ম, বর্ণ ভেদাভেদ মুছে দেবো।
আমাদের জীবনের গ্লানিগুলো উপুড় করে ঢালব।
আমাদের সকাল, দুপুর, দিনরাত্রি পুষ্পিত হবে,
আমরা চাঁদের জোছনাগঙ্গায় স্নান করে যত সব কালিমা ঘুচাব,
নতুন স্বপ্নের হাত ধরে হেঁটে যাব।
অতঃপর একটি সুন্দর পুন্যময় পৃথিবীর কবিতা হব।