বহুদিন তোমার দেখা নেই
দূরত্বের যে সরল সংজ্ঞা আমরা জানি
তা থেকেও কয়েকশো রাত দূরে বসে ভাবি
— তুমি ভালো নেই, প্রিয়।
যখন তোমার জন্য খুব কষ্ট হয়
যখন বিগত বিকেল সরে যায় ধীরে ;
ঘোরের মতোন নিবিড় রাতের কার্নিশে
তোমার রক্তবর্ণ চোখের ভাষা পড়তে পড়তে
ঝুলে থাকি একা – আমি আর বিমর্ষ চাঁদ।
অথচ আমি; হ্যাঁ, আমিই তাড়িয়ে দিয়েছি
প্রবল প্রাণময় তোমাকে ;
যেমন বিপন্ন গৃহিণী তাড়ায় মাংসের ঘ্রাণে
প্রলুদ্ধ বেড়ালকে
মধ্যাহ্নভোজনে গৃহকর্তা যেভাবে তাড়ায়
অনাহুত কুকুরকে ;
সন্ধ্যার অজানা আঁধারে মিশে যেতে যেতে
বলেছি — মরে যাও
ঝরে যাও শীতের আবেগহীন পাতার মতোন
অপরিণত আবেগ, বালখিল্য প্রকাশ আর
পতিত প্রেম নিয়ে —
ডুবে যাও কোন সমুদ্রে
প্রগাঢ় নীলে আরও নীল হয়ে ;
প্রকম্পিত নিষ্ঠুরতায় ভেবেছি, ” হায়, তুমিও মানুষ! “
সেই আমি
অমন ছন্দময় ঘৃণার ব্যঞ্জনা নিয়ে আজ
প্রতিমুহূর্তে মরে যাচ্ছি তবু তোমার জন্য।