এ কোন অন্ধকারে পাঠালে আমায় প্রভু?
জমাটবদ্ধ অন্ধকার।
কালো, আরও কালো অক্ষরের কবিতার ভ্রূণ,
ছিন্ন ভিন্ন পৃথিবীর প্রথম প্রহরে লেখা খাতার পাতা।
পাতালের অতলে ডুবে যাওয়া সভ্যতার অশ্রু ঝরছে নিরবধি।
হিমালয়ের লক্ষ লক্ষ টন পাথর বুকে নিয়ে অতৃপ্ত আত্মারা
আমার নিশ্বাসের উঠোনে পোড়ায় বোধের দেবশিশু।
চারদিকে হিংস্র হায়নার হাসি
দাঁতাল শুয়োরের ঘুত ঘুত করে এগিয়ে আসার পদধ্বনি
মৃত্তিকার ভ্রূণ ছিঁড়ে শকুনির উলঙ্গ উল্লাস।
ইসরাইলের বুকের ভেতর জলন্ত উনুনের সর্বগ্রাসী প্রলয়
ফিলিস্তিনে, গাজায় নিত্য সাজায় লাশের পাহাড়
ইউক্রেনের আলো গিলে খাচ্ছে রাশান পুঁজিবাদ,
নক্ষত্রখেকো কৃষ্ণগহবর আসছে ধেয়ে মানুষ খাবে বলে।
এশিয়া থেকে আফ্রিকা
ইউরোপ থেকে আমেরিকা সর্বত্রই সভ্যতার নিষ্ঠুর চুম্বন
সর্বত্রই মজলুমের আত্মচিৎকার আর বারুদপোড়া বাতাসে নিকষকালো অন্ধকার।
ডানে-বামে, সামনে-পেছনে
মর্তলোকের আঁচলে আঁচলে কেবলই আঁধার, কেবলই প্রচেষ্টা একচ্ছত্র ক্ষমতার।
একি আমার মধ্যরাতের দুঃস্বপ্ন?
একি আমার বিকারগ্রস্ত মস্তিষ্কের নিউরন খসে পড়ার অনাকাঙ্খিত সময়?
ভাবনার দুয়ার খুলে দাও প্রভু
মুছে দাও এই অন্ধকার,
বিবেকের দরপতন ঠেকাও;
চেতনার সূর্য নামিয়ে দাও ধরনীর ঘরে ঘরে।