মনচোরা স্বপ্নগুলো কেবল তাড়িত করে
অথচ বাস্তবতার কৃপাণ ধার দিয়ে যাচ্ছে –
কি ভুল – কোথায় ভুল তা এক জীবনে শুধবার নয় ।
আজ কবিতার কন্ডেমসেলে আমি বন্দী ।
উদ্যাম নদী বেয়ে চলে হিসেবের খেরো খাতায় প্রাপ্তি যোগ হয় ।
অথচ প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছিলেম এমন এক শ্রেনির যাদের
পাছার কালো হাড় দুমরে মুচরে ধুকছে প্রতিটি সূর্যোদয়ে ।
সুকান্তের ধারালো কলম খুঁজে চলি । আয়নায় আমি নিজেকে দেখি না ।
দেখি বাস্তবতাকে, দগ্ধ আধ পোড়া সিগারেট । তামাটে পৃথিবী ।
স্বপ্ন বেঁচে কষ্ট কিনি ।পূবের জানালাএখানে বন্ধ । কেবল অস্তরাগ ।
শব্দ গুলো আজ নির্মম হাসি হাসে
হাতুড়ি ,কাস্তে ,শাবল দিয়ে কোন সে শার্দুল সমাজের বৃত্ত ভাঙ্গতে চেয়েছিল
চলার পথ টা ক্রমাগত পিচ্ছিল হয়ে আসে যেন ইলিশ জন্ম ।
খেরো খাতায় ছেদ পড়ে , বৃন্তচ্যুত পাথুরে নিঃশ্বাস ।
আমি কবি নই , আমি চিত্রকর নই রক্তের শানিত প্রবাহ থেমে যায় ।
আঙুলের চুড়োয় যে চড়ুই রোজ রোজ ফিরে আসে ,
আর জড়ো করে একটু একটু খড়কুটো –
চোখের সবখানি দৃষ্টি তাকে দিয়ে –
অন্ধ হয়েছি আমি তবু নদী বয়ে যায় স্বপ্নের চোরা পথে —-
নেশার লাটিম , গোলাপের আফিম ,হুক্কার টান ,
বয়সের বাণ তারপর বড় অবেলার গান ।
সেই কবে কিশোরীর নিষ্পাপ জল গেয়েছিল গান তাই আজ অবশেষ ।